বিসিএস মৌখিক পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন
jugantor
বিসিএস মৌখিক পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন

  নাঈম সরদার  

২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

সম্প্রতি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) মৌখিক পরীক্ষা পদ্ধতিতে স্বজনপ্রীতি রোধে বেশকিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যদিও তা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেকটা অযৌক্তিক। মৌখিক পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এবং জেলার নাম গোপন করার নীতিমালা গ্রহণ করা হচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে এটি সঠিক মনে হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। বাংলাদেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একজন শিক্ষার্থীর যোগ্যতা পরিমাপক সিজিপিএ প্রদানের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন পরিমাপক ব্যবহার করে থাকে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে যোগ্যতার অধিক সিজিপিএ প্রদান করে থাকে। এক্ষেত্রে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ না থেকে শুধু সিজিপিএ এবং সাবজেক্ট উল্লেখ থাকে, তাহলে ভাইবা বোর্ডে পরীক্ষকরা নিঃসন্দেহে বিভ্রান্ত হবেন। অপরদিকে সাম্প্রতিক সময়ের সিভিল সার্ভিসের প্রশাসনিক ক্যাডারগুলোয় তথাকথিত সামনের সারির বিষয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রধান্য দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়-প্রীতি কিংবা জেলা-প্রীতির চেয়ে সাবজেক্ট-প্রীতি সহায়ক ভূমিকা পালন করে কি না, সেটা ভেবে দেখা দরকার। তাই সংস্কারের ক্ষেত্রে আরও অধিক বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করি।

শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বিসিএস মৌখিক পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন

 নাঈম সরদার 
২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

সম্প্রতি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) মৌখিক পরীক্ষা পদ্ধতিতে স্বজনপ্রীতি রোধে বেশকিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যদিও তা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেকটা অযৌক্তিক। মৌখিক পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এবং জেলার নাম গোপন করার নীতিমালা গ্রহণ করা হচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে এটি সঠিক মনে হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। বাংলাদেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একজন শিক্ষার্থীর যোগ্যতা পরিমাপক সিজিপিএ প্রদানের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন পরিমাপক ব্যবহার করে থাকে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে যোগ্যতার অধিক সিজিপিএ প্রদান করে থাকে। এক্ষেত্রে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ না থেকে শুধু সিজিপিএ এবং সাবজেক্ট উল্লেখ থাকে, তাহলে ভাইবা বোর্ডে পরীক্ষকরা নিঃসন্দেহে বিভ্রান্ত হবেন। অপরদিকে সাম্প্রতিক সময়ের সিভিল সার্ভিসের প্রশাসনিক ক্যাডারগুলোয় তথাকথিত সামনের সারির বিষয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রধান্য দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়-প্রীতি কিংবা জেলা-প্রীতির চেয়ে সাবজেক্ট-প্রীতি সহায়ক ভূমিকা পালন করে কি না, সেটা ভেবে দেখা দরকার। তাই সংস্কারের ক্ষেত্রে আরও অধিক বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করি।

শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন