ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য হাতিয়ার নৌপথে
jugantor
ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য হাতিয়ার নৌপথে

  ডা. তরিকুল ইসলাম  

২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

নোয়াখালী জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। নোয়াখালী থেকে বিচ্ছিন্ন এ দ্বীপে কোনো সড়ক যোগাযোগ না থাকায় যাতায়াতের জন্য নৌপথই একমাত্র ভরসা। নৌপথ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট করে আসছে এ দ্বীপের মানুষ। এখানে নদীপথে চলাচলের জন্য রয়েছে সি-ট্রাক, ট্রলার ও স্পিডবোট। সি-ট্রাক বন্ধ করে একটি কুচক্রী মহল নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য ট্রলার চালু করেছে। ট্রলারের ভাড়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, যেখানে সি-ট্রাকের ভাড়া ১০০ থেকে ১২০ টাকা; অর্থাৎ ট্রলার ভাড়ার অর্ধেক সি-ট্রাক ভাড়া।

এছাড়াও চলছে স্পিডবোটের ভাড়ার প্রতিযোগিতা। এখানকার চেয়ারম্যান ঘাট থেকে নলচিরা ঘাট পর্যন্ত সময় লাগে ২৫-৩০ মিনিট; অথচ ভাড়া ৫০০ টাকা। মাত্র ৩০ মিনিটের পথে ভাড়া ৫০০ টাকা হয় কীভাবে? এত অল্প সময়ের দূরত্বে এত বেশি ভাড়া নেওয়ার নজির দেশের আর কোথাও নেই। এর বাইরে এখানকার ঘাট কর্তৃপক্ষের অসদাচরণ তো আছেই। সবচেয়ে বড় কথা, স্পিডবোটসহ ঘাটে টিকিট দিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া হয়, সেই টিকিটের গায়ে টাকার পরিমাণ উল্লেখই থাকে না! বোঝাই যাচ্ছে, কোনো একটা জায়গায় সমস্যা আছে।

দেশের আর কোথাও ভাড়ার নামে এরকম নৈরাজ্য আর চলে না। এভাবে এখানকার মানুষের কাছ থেকে একটি কুচক্রী মহল কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতিবাদ করার সাহসও পায় না কেউ। হাতিয়াবাসীর এমন অসহনীয় দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

হাতিয়া, নোয়াখালী

ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য হাতিয়ার নৌপথে

 ডা. তরিকুল ইসলাম 
২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

নোয়াখালী জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। নোয়াখালী থেকে বিচ্ছিন্ন এ দ্বীপে কোনো সড়ক যোগাযোগ না থাকায় যাতায়াতের জন্য নৌপথই একমাত্র ভরসা। নৌপথ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট করে আসছে এ দ্বীপের মানুষ। এখানে নদীপথে চলাচলের জন্য রয়েছে সি-ট্রাক, ট্রলার ও স্পিডবোট। সি-ট্রাক বন্ধ করে একটি কুচক্রী মহল নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য ট্রলার চালু করেছে। ট্রলারের ভাড়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, যেখানে সি-ট্রাকের ভাড়া ১০০ থেকে ১২০ টাকা; অর্থাৎ ট্রলার ভাড়ার অর্ধেক সি-ট্রাক ভাড়া।

এছাড়াও চলছে স্পিডবোটের ভাড়ার প্রতিযোগিতা। এখানকার চেয়ারম্যান ঘাট থেকে নলচিরা ঘাট পর্যন্ত সময় লাগে ২৫-৩০ মিনিট; অথচ ভাড়া ৫০০ টাকা। মাত্র ৩০ মিনিটের পথে ভাড়া ৫০০ টাকা হয় কীভাবে? এত অল্প সময়ের দূরত্বে এত বেশি ভাড়া নেওয়ার নজির দেশের আর কোথাও নেই। এর বাইরে এখানকার ঘাট কর্তৃপক্ষের অসদাচরণ তো আছেই। সবচেয়ে বড় কথা, স্পিডবোটসহ ঘাটে টিকিট দিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া হয়, সেই টিকিটের গায়ে টাকার পরিমাণ উল্লেখই থাকে না! বোঝাই যাচ্ছে, কোনো একটা জায়গায় সমস্যা আছে।

দেশের আর কোথাও ভাড়ার নামে এরকম নৈরাজ্য আর চলে না। এভাবে এখানকার মানুষের কাছ থেকে একটি কুচক্রী মহল কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতিবাদ করার সাহসও পায় না কেউ। হাতিয়াবাসীর এমন অসহনীয় দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

হাতিয়া, নোয়াখালী

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন