ক্ষমা করে দাও গো মা জন্মেছি এই দেশে...
jugantor
ক্ষমা করে দাও গো মা জন্মেছি এই দেশে...

  লাইজু আক্তার  

২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেশকে ভালোবেসে লিখেছিলেন-সার্থক জনম আমার/জন্মেছি এই দেশে,/সার্থক জনম মা গো,/তোমায় ভালবেসে। তিনি তার দেশকে ভালোবেসে এত সুন্দর এ কবিতাটি লিখেছিলেন, যা পড়ে আমরা দেশের প্রতি তার টান, ভালোবাসা বুঝি; কিন্তু বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার এই যুগে তিনি যদি বেঁচে থাকতেন আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিতেন, তবে তার লেখাটা হয়তো এরকম হতো-ক্ষমা করে দাও গো মা/জন্মেছি এই দেশে,/আরও ক্ষমা করে দাও গো মা ভালোবেসেছিনু তোকে,/অর্ধেক বয়স গেছে ওগো মা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘুরে/ আর অর্ধেকে এসে দেখি সনদপত্রের মেয়াদ গেছে পুরে।

যেহেতু তিনি নেই; তাই এ কবিতাটা আমাদের লিখতে হবে। কারণ, দেশ বদলে গেছে। কিছুদিন আগে ডিজিটাল-ডিজিটাল করে চিল্লানোর পর এখন আমরা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ দেখার তসবি জপছি; কিন্তু এ স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা কীভাবে গড়ব, এজন্য দেশের কর্তাবাবুরা কতটুকু ভাবেন? তারা কি আদৌ জানেন, বর্তমান বিশ্বে টিকে থাকতে হলে কিংবা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষাব্যবস্থার দিকে নজর দিতে হবে সর্বাগ্রে। অবশ্য না জানলেও চলবে। কারণ, তাদের ছেলেমেয়েরা বিদেশে পড়াশোনা করবে; অথবা মামা, খালুর জোরে দুর্বল সার্টিফিকেট দিয়ে হলেও ভালো চাকরি পাবে। তাহলে তারা কষ্ট করে কেন আমাদের মতো মানুষকে নিয়ে ভাববেন, বলুন? যেখানে তারা সুখে আছেন, তাদের সন্তানরা বিদেশে পরমানন্দে পড়াশোনা করছে; সেখানে কেন তারা দেশের নিরীহ শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার মতো পরিশ্রম করবেন? আফসোস! এই সহজসরল সত্যটা দেশের তরুণ সমাজ বুঝে না। আর তাই তো তারা আজও একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য রাতের পর রাত জাগে। যে কোনো একটা চাকরির জন্য পায়ের জুতা ক্ষয় করে।

বলি বাছাধন! তোমরা কেন বুঝতে চাও না-তোমাদের এই মেধার কদর তাদের কাছে নেই। তোমরা খেয়াল করে দেখ না কেন, তোমাদের স্নাতক পাশ করতেই যায় ২৬ থেকে ২৭ বছর, যেখানে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩০ বছর! এই ৩-৪ বছরে তোমরা উচ্চ ডিগ্রি নেবে; নাকি চাকরি নামক প্রতিযোগিতার পেছনে ছুটবে? কোনটা করবে? এই যে নিজেকে চাকরির জন্য যাচাই করার একটা বয়স দেওয়া হয়েছে ৩ থেকে ৪ বছর, এটা আসলে কতটা যৌক্তিক? তবে কি চেয়ারে বসে থাকা ভুঁড়িমোটা কাকুরা চান-স্নাতক পাশ করার পর দেশের ছেলেমেয়েরা আর পড়াশোনা না করে চাকরির পেছনে ছুটুক। ছোটার পর যদি এই ৩-৪ বছর সময়ে নিজেকে যাচাই করতে না পারে, তবে তাকে দেশের মৃত নাগরিক বলে ঘোষণা দেওয়া হোক। কেননা, ত্রিশের পর তাদের সনদপত্রের আর মূল্য নেই; মানে মেয়াদোত্তীর্ণ। এ সিস্টেমটা দেখলে একটা গল্পের কথা মনে পড়ে, যেখানে গল্পের নায়ককে বলা হয়েছিল-সূর্য ডোবার আগে যত দূর পথ সে অতিক্রম করবে, তাকে ঠিক ততটুকু জায়গা দেওয়া হবে। আর নায়ক তাই করেছিল; কারণ, তার জায়গা লাগবে। গল্পের শেষে দেখা যায়-গল্পের নায়ক অনেক জায়গার মালিক ঠিকই হয়; কিন্তু সূর্য ডোবার পর তার মৃত্যুও হয়। যেমন মৃত্যু হয় আমাদের ২০-২১ বছরে অর্জিত শিক্ষা সনদগুলোর। আমাদের মাথায় একটা চাপ থাকে, ত্রিশের পর সনদের মেয়াদ থাকবে না; তাই একদিকে একাডেমিক পড়াশোনা, অন্যদিকে চাকরির প্রতিযোগিতা, আর্থিক সংকট, প্রেয়সীর বিয়ে। সব মিলিয়ে সূর্য ডোবার সঙ্গেই মৃত্যু। এ বিষয়গুলো কখনো আমাদের দেশের কর্তাবাবুরা ভাবেন না; অথচ উন্নয়ন চান।

আমার দেশ লাখ লাখ টাকা খরচ করে বাইরের দেশ থেকে ইঞ্জিনিয়ার এনে কাজ করায়। অথচ সরকার চাইলেই ওই লাখ লাখ টাকা খরচ করে কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করে নিয়ে আসতে পারত আমাদের দেশে। তা কখনোই তা করে না। তা না করেই দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া শিক্ষার্থীদের একটা চাপে রাখে। যেখানে তাদের শুধু পড়াশোনা করার কথা, তারা সেটা করতে পারে না। এর কারণ আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী দরিদ্র। তারা অভাব বুঝে পড়াশোনার চেয়েও বেশি। পেটে ক্ষুধা থাকলে পড়াশোনা মাথায় থাকবে কী করে? বিষয়টা অস্বাভাবিক কিছু নয়; অথচ সেটা কেন কেউ বুঝতে চায় না? না বুঝেই আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা বলে দেন-তোর দ্বারা কিছু হবে না, তুই কিছুই করতে পারবি না। কেন করতে পারবে না, সেটা কি কেউ কখনো ভেবেছে?

ছোটবেলা থেকেই শিক্ষার্থীদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয় পড়াশোনা করে বড় চাকরি করতে হবে। আর চাকরির জন্য প্রচুর পড়তে হবে, পরীক্ষায় ভালো মার্ক পেতে হবে। নইলে চাকরিতে আবেদন করা যাবে না। ভালো ভার্সিটিতে চান্স হবে না। তাহলে শিক্ষার্থীরা কী করবে? এত চাপ নিয়ে পড়াশোনা করে যখন ত্রিশের পর সে আর চাকরিতে আবেদন করার যোগ্যতাই রাখে না, নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ থাকে না; তখন এত কষ্ট করে, এত টাকা নষ্ট করে পড়াশোনা করার মানেটা কি? অনেকে বলতে পারেন-তারা বেসরকারি চাকরি করবে, বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করবে। যারা এ কথাগুলো বলেন, তাদের জানা উচিত-একটা পোশাক কারখানায় কাজ করতে গেলেও তারা অভিজ্ঞতা খুঁজে। তারা সনদপত্র দেখার আগে অভিজ্ঞতাকে বেশি মূল্যায়ন করে। যে অভিজ্ঞতা তারা চায়, সেই অভিজ্ঞতা আমাদের শিক্ষার্থীরা পাবে কোথায়? যখন এ অভিজ্ঞতা নেই, তখন সনদধারী স্নাতক পাশ করা শিক্ষার্থীরা যাবে কোথায়? বয়স ত্রিশ, মেয়াদোত্তীর্ণ কয়েকটা সনদপত্র, বৃদ্ধ মা-বাবা, আর্থিক সংকট, প্রেয়সীর বিয়ে, পেটে ক্ষুধা-চোর-ডাকাত হব, নাকি পেশাদার খুনি হব, সিদ্ধান্তটা দেশের কর্তাবাবুরা নিবেন, নাকি আমি? আমার মনে হয়- সিদ্ধান্তটা আমার নেওয়াই উত্তম; কারণ, ধোঁকা আমাকে দেওয়া হয়েছে। প্রথমে বলা হয়েছে-তোমরা পড়াশোনা করো, মানুষের মতো মানুষ হও। আর এগুলো করার পর বলা হচ্ছে-ত্রিশের পর তোমার কোনো মূল্য নেই। তোমার সনদের মেয়াদ শেষ, তুমি আসতে পার।

শিক্ষার্থী

নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ

mstlaijua@gmail.com

ক্ষমা করে দাও গো মা জন্মেছি এই দেশে...

 লাইজু আক্তার 
২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেশকে ভালোবেসে লিখেছিলেন-সার্থক জনম আমার/জন্মেছি এই দেশে,/সার্থক জনম মা গো,/তোমায় ভালবেসে। তিনি তার দেশকে ভালোবেসে এত সুন্দর এ কবিতাটি লিখেছিলেন, যা পড়ে আমরা দেশের প্রতি তার টান, ভালোবাসা বুঝি; কিন্তু বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার এই যুগে তিনি যদি বেঁচে থাকতেন আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিতেন, তবে তার লেখাটা হয়তো এরকম হতো-ক্ষমা করে দাও গো মা/জন্মেছি এই দেশে,/আরও ক্ষমা করে দাও গো মা ভালোবেসেছিনু তোকে,/অর্ধেক বয়স গেছে ওগো মা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘুরে/ আর অর্ধেকে এসে দেখি সনদপত্রের মেয়াদ গেছে পুরে।

যেহেতু তিনি নেই; তাই এ কবিতাটা আমাদের লিখতে হবে। কারণ, দেশ বদলে গেছে। কিছুদিন আগে ডিজিটাল-ডিজিটাল করে চিল্লানোর পর এখন আমরা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ দেখার তসবি জপছি; কিন্তু এ স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা কীভাবে গড়ব, এজন্য দেশের কর্তাবাবুরা কতটুকু ভাবেন? তারা কি আদৌ জানেন, বর্তমান বিশ্বে টিকে থাকতে হলে কিংবা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষাব্যবস্থার দিকে নজর দিতে হবে সর্বাগ্রে। অবশ্য না জানলেও চলবে। কারণ, তাদের ছেলেমেয়েরা বিদেশে পড়াশোনা করবে; অথবা মামা, খালুর জোরে দুর্বল সার্টিফিকেট দিয়ে হলেও ভালো চাকরি পাবে। তাহলে তারা কষ্ট করে কেন আমাদের মতো মানুষকে নিয়ে ভাববেন, বলুন? যেখানে তারা সুখে আছেন, তাদের সন্তানরা বিদেশে পরমানন্দে পড়াশোনা করছে; সেখানে কেন তারা দেশের নিরীহ শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার মতো পরিশ্রম করবেন? আফসোস! এই সহজসরল সত্যটা দেশের তরুণ সমাজ বুঝে না। আর তাই তো তারা আজও একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য রাতের পর রাত জাগে। যে কোনো একটা চাকরির জন্য পায়ের জুতা ক্ষয় করে।

বলি বাছাধন! তোমরা কেন বুঝতে চাও না-তোমাদের এই মেধার কদর তাদের কাছে নেই। তোমরা খেয়াল করে দেখ না কেন, তোমাদের স্নাতক পাশ করতেই যায় ২৬ থেকে ২৭ বছর, যেখানে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩০ বছর! এই ৩-৪ বছরে তোমরা উচ্চ ডিগ্রি নেবে; নাকি চাকরি নামক প্রতিযোগিতার পেছনে ছুটবে? কোনটা করবে? এই যে নিজেকে চাকরির জন্য যাচাই করার একটা বয়স দেওয়া হয়েছে ৩ থেকে ৪ বছর, এটা আসলে কতটা যৌক্তিক? তবে কি চেয়ারে বসে থাকা ভুঁড়িমোটা কাকুরা চান-স্নাতক পাশ করার পর দেশের ছেলেমেয়েরা আর পড়াশোনা না করে চাকরির পেছনে ছুটুক। ছোটার পর যদি এই ৩-৪ বছর সময়ে নিজেকে যাচাই করতে না পারে, তবে তাকে দেশের মৃত নাগরিক বলে ঘোষণা দেওয়া হোক। কেননা, ত্রিশের পর তাদের সনদপত্রের আর মূল্য নেই; মানে মেয়াদোত্তীর্ণ। এ সিস্টেমটা দেখলে একটা গল্পের কথা মনে পড়ে, যেখানে গল্পের নায়ককে বলা হয়েছিল-সূর্য ডোবার আগে যত দূর পথ সে অতিক্রম করবে, তাকে ঠিক ততটুকু জায়গা দেওয়া হবে। আর নায়ক তাই করেছিল; কারণ, তার জায়গা লাগবে। গল্পের শেষে দেখা যায়-গল্পের নায়ক অনেক জায়গার মালিক ঠিকই হয়; কিন্তু সূর্য ডোবার পর তার মৃত্যুও হয়। যেমন মৃত্যু হয় আমাদের ২০-২১ বছরে অর্জিত শিক্ষা সনদগুলোর। আমাদের মাথায় একটা চাপ থাকে, ত্রিশের পর সনদের মেয়াদ থাকবে না; তাই একদিকে একাডেমিক পড়াশোনা, অন্যদিকে চাকরির প্রতিযোগিতা, আর্থিক সংকট, প্রেয়সীর বিয়ে। সব মিলিয়ে সূর্য ডোবার সঙ্গেই মৃত্যু। এ বিষয়গুলো কখনো আমাদের দেশের কর্তাবাবুরা ভাবেন না; অথচ উন্নয়ন চান।

আমার দেশ লাখ লাখ টাকা খরচ করে বাইরের দেশ থেকে ইঞ্জিনিয়ার এনে কাজ করায়। অথচ সরকার চাইলেই ওই লাখ লাখ টাকা খরচ করে কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করে নিয়ে আসতে পারত আমাদের দেশে। তা কখনোই তা করে না। তা না করেই দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া শিক্ষার্থীদের একটা চাপে রাখে। যেখানে তাদের শুধু পড়াশোনা করার কথা, তারা সেটা করতে পারে না। এর কারণ আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী দরিদ্র। তারা অভাব বুঝে পড়াশোনার চেয়েও বেশি। পেটে ক্ষুধা থাকলে পড়াশোনা মাথায় থাকবে কী করে? বিষয়টা অস্বাভাবিক কিছু নয়; অথচ সেটা কেন কেউ বুঝতে চায় না? না বুঝেই আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা বলে দেন-তোর দ্বারা কিছু হবে না, তুই কিছুই করতে পারবি না। কেন করতে পারবে না, সেটা কি কেউ কখনো ভেবেছে?

ছোটবেলা থেকেই শিক্ষার্থীদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয় পড়াশোনা করে বড় চাকরি করতে হবে। আর চাকরির জন্য প্রচুর পড়তে হবে, পরীক্ষায় ভালো মার্ক পেতে হবে। নইলে চাকরিতে আবেদন করা যাবে না। ভালো ভার্সিটিতে চান্স হবে না। তাহলে শিক্ষার্থীরা কী করবে? এত চাপ নিয়ে পড়াশোনা করে যখন ত্রিশের পর সে আর চাকরিতে আবেদন করার যোগ্যতাই রাখে না, নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ থাকে না; তখন এত কষ্ট করে, এত টাকা নষ্ট করে পড়াশোনা করার মানেটা কি? অনেকে বলতে পারেন-তারা বেসরকারি চাকরি করবে, বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করবে। যারা এ কথাগুলো বলেন, তাদের জানা উচিত-একটা পোশাক কারখানায় কাজ করতে গেলেও তারা অভিজ্ঞতা খুঁজে। তারা সনদপত্র দেখার আগে অভিজ্ঞতাকে বেশি মূল্যায়ন করে। যে অভিজ্ঞতা তারা চায়, সেই অভিজ্ঞতা আমাদের শিক্ষার্থীরা পাবে কোথায়? যখন এ অভিজ্ঞতা নেই, তখন সনদধারী স্নাতক পাশ করা শিক্ষার্থীরা যাবে কোথায়? বয়স ত্রিশ, মেয়াদোত্তীর্ণ কয়েকটা সনদপত্র, বৃদ্ধ মা-বাবা, আর্থিক সংকট, প্রেয়সীর বিয়ে, পেটে ক্ষুধা-চোর-ডাকাত হব, নাকি পেশাদার খুনি হব, সিদ্ধান্তটা দেশের কর্তাবাবুরা নিবেন, নাকি আমি? আমার মনে হয়- সিদ্ধান্তটা আমার নেওয়াই উত্তম; কারণ, ধোঁকা আমাকে দেওয়া হয়েছে। প্রথমে বলা হয়েছে-তোমরা পড়াশোনা করো, মানুষের মতো মানুষ হও। আর এগুলো করার পর বলা হচ্ছে-ত্রিশের পর তোমার কোনো মূল্য নেই। তোমার সনদের মেয়াদ শেষ, তুমি আসতে পার।

শিক্ষার্থী

নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ

mstlaijua@gmail.com

 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন