হুমকির মুখে ফসলি জমি
দেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় ফসলি জমির পরিমাণ আনুপাতিক হারে কম হলেও এর মধ্যেই আবার চলছে ব্যাপক পরিমাণে ফসলি জমি নিধন। যার চূড়ান্ত রূপ ধারণ করেছে বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের বহালগাছা মৌজাধীন ফসলি/আবাদি জমিগুলোতে। বিগত কয়েক বছর ধরেই চলছে এরকম আবাদি জমির ধ্বংসযজ্ঞ। অসাধু ভূমি ব্যবসায়ীরা এ এলাকার মাঠের ফসলি জমি সুবিধামতো সময়ে ক্রয় করে সেখানকার মাটি ইটভাটার মালিক ও অন্যান্য জায়গায় বিক্রি করে দেয়। জমিগুলো অনেক বেশি মাটি বিক্রির কারণে সেই জমিসহ আশপাশের জমিগুলো আবাদ/চাষের উপযোগিতা হারাচ্ছে। তদুপরি পাড়া/মহল্লার সড়ক দিয়ে নিষিদ্ধ ট্রাক্টরে করে মাটি পরিবহণের কারণে সড়কগুলো বেহাল হয়ে ভঙ্গুর ও যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী একাধিকবার সম্মিলিতভাবে স্থানীয় প্রশাসন বরাবর সমাধান চেয়েছেন; কিন্তু এতে কোনো কাজ হয়নি। এ এলাকায় মোট ১০০ হেক্টর আবাদি জমি রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে অসাধু ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে চরম হুমকির মুখে পড়বে এ এলাকার ফসলি জমি। বগুড়া জেলা ও ধুনট উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
হুমকির মুখে ফসলি জমি
দেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় ফসলি জমির পরিমাণ আনুপাতিক হারে কম হলেও এর মধ্যেই আবার চলছে ব্যাপক পরিমাণে ফসলি জমি নিধন। যার চূড়ান্ত রূপ ধারণ করেছে বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের বহালগাছা মৌজাধীন ফসলি/আবাদি জমিগুলোতে। বিগত কয়েক বছর ধরেই চলছে এরকম আবাদি জমির ধ্বংসযজ্ঞ। অসাধু ভূমি ব্যবসায়ীরা এ এলাকার মাঠের ফসলি জমি সুবিধামতো সময়ে ক্রয় করে সেখানকার মাটি ইটভাটার মালিক ও অন্যান্য জায়গায় বিক্রি করে দেয়। জমিগুলো অনেক বেশি মাটি বিক্রির কারণে সেই জমিসহ আশপাশের জমিগুলো আবাদ/চাষের উপযোগিতা হারাচ্ছে। তদুপরি পাড়া/মহল্লার সড়ক দিয়ে নিষিদ্ধ ট্রাক্টরে করে মাটি পরিবহণের কারণে সড়কগুলো বেহাল হয়ে ভঙ্গুর ও যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী একাধিকবার সম্মিলিতভাবে স্থানীয় প্রশাসন বরাবর সমাধান চেয়েছেন; কিন্তু এতে কোনো কাজ হয়নি। এ এলাকায় মোট ১০০ হেক্টর আবাদি জমি রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে অসাধু ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে চরম হুমকির মুখে পড়বে এ এলাকার ফসলি জমি। বগুড়া জেলা ও ধুনট উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ