চট্টগ্রাম মেইল ট্রেন যেন ভোগান্তির আরেক নাম
jugantor
চট্টগ্রাম মেইল ট্রেন যেন ভোগান্তির আরেক নাম

  মাসউদ বিন আতহার  

২২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

স্থলপথের ভ্রমণে ট্রেনের তুলনা হয় না। বিশেষত যাত্রাপথে যাদের বমির সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য তো রেলপথের বিকল্প নেই। বাংলাদেশে জনগণের চাহিদা অনুপাতে ট্রেনের সংখ্যা খুবই নগণ্য। মধ্যবিত্ত, নিুবিত্ত কিংবা আন্তঃনগর ট্রেনের সিট না পাওয়া যাত্রীদের জন্য মেইল ট্রেন সর্বশেষ অবলম্বন। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, অল্পসংখ্যক এই মেইল ট্রেনগুলোতে যাত্রীরা যথাযথ সেবা পায় না। বিভিন্নমুখী হয়রানির শিকার হয় যাত্রীরা। বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের একটি বৃহৎ মেইল ট্রেন হলো চট্টগ্রাম মেইল। যাত্রার প্রারম্ভেই শুরু হয় এখানে অনিয়ম, দুর্নীতি। মেইল ট্রেনগুলোয় যেহেতু সিট নম্বর থাকে না, তাই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কিংবা চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন আসামাত্রই সিট দখল হয়ে যায়। আশপাশের বখাটে ছেলেপুলেরা সিট দখলে নিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টিকিটমূল্যের চেয়েও অধিক টাকা দাবি করে সিট বিক্রি করে। দুঃখজনক বিষয় হলো, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিুপদের সদস্যদেরও সিট বিক্রি করতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে তারা সঙ্গে থাকা রাইফেল আড়াআড়ি রেখেও একাধিক সিট দখলে নেয়। এসব যেন দেখার কেউ নেই। মেইল ট্রেনের যুদ্ধ দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্য যেন এক অভিশাপ। এমন বিশাল ট্রেনে হাতেগোনা কয়েকটি বগি যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ। অনেক বগি বিশেষ ভাড়ায় চালিত হওয়ার কারণে সাধারণ যাত্রীরা যাতায়াত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ট্রেন কর্মকর্তাদের অনেকে খাবার ও নামাজের জায়গায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে যাত্রী উঠিয়ে থাকে। যাত্রীকে যেখানে ট্রেনে জায়গা পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়, সেখানে তারা ন্যায্য টিকিট কাটার ব্যাপারে কতটুকু আগ্রহী হবে, তা বলাই বাহুল্য। তাছাড়া টিকিট চেকারের টিকিটবিহীন যাত্রীদের থেকে টাকা পকেটে পুরার অনৈতিক কাজ তো আছেই। এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে চলে কলহ-বিবাদ। কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ-যেহেতু দেশে ট্রেনের সংখ্যা কম, তাই সাধারণ মানুষের যাতায়াত নিরাপদ করার লক্ষ্যে মেইল ট্রেনগুলোর দিকে নজর দিন, দুর্নীতি ও দুদর্শামুক্ত করুন।

ভাগদীমার্কাজ, নরসিংদী

masudbinathar@gmail.com

চট্টগ্রাম মেইল ট্রেন যেন ভোগান্তির আরেক নাম

 মাসউদ বিন আতহার 
২২ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

স্থলপথের ভ্রমণে ট্রেনের তুলনা হয় না। বিশেষত যাত্রাপথে যাদের বমির সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য তো রেলপথের বিকল্প নেই। বাংলাদেশে জনগণের চাহিদা অনুপাতে ট্রেনের সংখ্যা খুবই নগণ্য। মধ্যবিত্ত, নিুবিত্ত কিংবা আন্তঃনগর ট্রেনের সিট না পাওয়া যাত্রীদের জন্য মেইল ট্রেন সর্বশেষ অবলম্বন। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, অল্পসংখ্যক এই মেইল ট্রেনগুলোতে যাত্রীরা যথাযথ সেবা পায় না। বিভিন্নমুখী হয়রানির শিকার হয় যাত্রীরা। বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের একটি বৃহৎ মেইল ট্রেন হলো চট্টগ্রাম মেইল। যাত্রার প্রারম্ভেই শুরু হয় এখানে অনিয়ম, দুর্নীতি। মেইল ট্রেনগুলোয় যেহেতু সিট নম্বর থাকে না, তাই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কিংবা চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন আসামাত্রই সিট দখল হয়ে যায়। আশপাশের বখাটে ছেলেপুলেরা সিট দখলে নিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টিকিটমূল্যের চেয়েও অধিক টাকা দাবি করে সিট বিক্রি করে। দুঃখজনক বিষয় হলো, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিুপদের সদস্যদেরও সিট বিক্রি করতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে তারা সঙ্গে থাকা রাইফেল আড়াআড়ি রেখেও একাধিক সিট দখলে নেয়। এসব যেন দেখার কেউ নেই। মেইল ট্রেনের যুদ্ধ দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্য যেন এক অভিশাপ। এমন বিশাল ট্রেনে হাতেগোনা কয়েকটি বগি যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ। অনেক বগি বিশেষ ভাড়ায় চালিত হওয়ার কারণে সাধারণ যাত্রীরা যাতায়াত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ট্রেন কর্মকর্তাদের অনেকে খাবার ও নামাজের জায়গায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে যাত্রী উঠিয়ে থাকে। যাত্রীকে যেখানে ট্রেনে জায়গা পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়, সেখানে তারা ন্যায্য টিকিট কাটার ব্যাপারে কতটুকু আগ্রহী হবে, তা বলাই বাহুল্য। তাছাড়া টিকিট চেকারের টিকিটবিহীন যাত্রীদের থেকে টাকা পকেটে পুরার অনৈতিক কাজ তো আছেই। এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে চলে কলহ-বিবাদ। কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ-যেহেতু দেশে ট্রেনের সংখ্যা কম, তাই সাধারণ মানুষের যাতায়াত নিরাপদ করার লক্ষ্যে মেইল ট্রেনগুলোর দিকে নজর দিন, দুর্নীতি ও দুদর্শামুক্ত করুন।

ভাগদীমার্কাজ, নরসিংদী

masudbinathar@gmail.com

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন