লজ্জাজনক টিফিন ভাতা
কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার হাতেখড়ি হয় যাদের হাতে, তারা হচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বস্তুত সুশিক্ষিত সুনাগরিক গঠনের প্রথম কারিগর হচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সেই কঠিন দায়িত্ব যাদের কাঁধে, তাদের জীবনমানের গল্প শুনলে বিবেকবান মানুষের বিবেক কাঁদবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত উচ্চশিক্ষিত একজন শিক্ষকের বেতনভাতা মন্ত্রণালয়ের ড্রাইভারদের এক গ্রেড নিচে-১৩তম গ্রেডে। দৈনিক টিফিন ভাতা ৬.৬৬ টাকা, যা দিয়ে বর্তমান বাজারে এক কাপ চা পাওয়া যায় না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বাজার যখন চরম পর্যায়ে, এ সময়েও শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দ সেই কয়েক যুগ আগের ভাতা। একজন শিক্ষক সকাল ৯টা থেকে পাঠদান শুরু করে বিকাল সোয়া ৪টা পর্যন্ত পাঠদান পরিচালনা করেন। অথচ তাদের মধ্যাহ্নবিরতিতে ৬.৬৬ টাকার টিফিন ভাতা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। এ লজ্জাজনক টিফিন ভাতা হয় বাতিল করা হোক; আর তা না হলে বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে ‘লাঞ্চ ভাতা’ প্রদান করা হোক। ৬.৬৬ টাকার টিফিন খেয়ে একজন শিক্ষক বিকাল সোয়া চারটা পর্যন্ত কীভাবে পাঠদানে মনোনিবেশ করবেন, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ভেবে দেখার সবিনয় অনুরোধ রইল।
সহকারী শিক্ষক, বওলা সপ্রাবি, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
লজ্জাজনক টিফিন ভাতা
কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার হাতেখড়ি হয় যাদের হাতে, তারা হচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বস্তুত সুশিক্ষিত সুনাগরিক গঠনের প্রথম কারিগর হচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সেই কঠিন দায়িত্ব যাদের কাঁধে, তাদের জীবনমানের গল্প শুনলে বিবেকবান মানুষের বিবেক কাঁদবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত উচ্চশিক্ষিত একজন শিক্ষকের বেতনভাতা মন্ত্রণালয়ের ড্রাইভারদের এক গ্রেড নিচে-১৩তম গ্রেডে। দৈনিক টিফিন ভাতা ৬.৬৬ টাকা, যা দিয়ে বর্তমান বাজারে এক কাপ চা পাওয়া যায় না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বাজার যখন চরম পর্যায়ে, এ সময়েও শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দ সেই কয়েক যুগ আগের ভাতা। একজন শিক্ষক সকাল ৯টা থেকে পাঠদান শুরু করে বিকাল সোয়া ৪টা পর্যন্ত পাঠদান পরিচালনা করেন। অথচ তাদের মধ্যাহ্নবিরতিতে ৬.৬৬ টাকার টিফিন ভাতা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। এ লজ্জাজনক টিফিন ভাতা হয় বাতিল করা হোক; আর তা না হলে বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে ‘লাঞ্চ ভাতা’ প্রদান করা হোক। ৬.৬৬ টাকার টিফিন খেয়ে একজন শিক্ষক বিকাল সোয়া চারটা পর্যন্ত কীভাবে পাঠদানে মনোনিবেশ করবেন, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ভেবে দেখার সবিনয় অনুরোধ রইল।
সহকারী শিক্ষক, বওলা সপ্রাবি, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল