শিক্ষার্থীরা কবে বই পাবে?
মার্চ প্রায় শেষ হচ্ছে, সামনে রমজানের বন্ধ। বন্ধ শেষ হতে হতে এপ্রিল শেষ হবে। অথচ শিক্ষার্থীরা এখনো সম্পূর্ণ বই হাতে পায়নি। চলতি শিক্ষাবর্ষে কোনো কোনো শ্রেণির বই এখনো পাওয়া যায়নি। আবার কোনো কোনো শ্রেণির বই আংশিক পাওয়া গেছে। মাদ্রাসার নবম শ্রেণির মাত্র একটা বই পাওয়া গেছে। সপ্তম শ্রেণির ১৪টি বইয়ের মধ্যে পাওয়া গেছে মাত্র সাতটি। ষষ্ঠ শ্রেণির একটি বই ধর্মীয় চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় সে বইটি তুলে নেওয়া হয়েছে, যা এ বছর আর পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এ অবস্থায় শিক্ষকরা পুরোনো বই ও শিক্ষক গাইড হাতে নিয়ে কোনোরকমে ক্লাসে সময় অতিবাহিত করছে। করোনার কারণে প্রায় দুই শিক্ষাবর্ষ পাঠদান ব্যাহত হয়েছে। অনলাইন পাঠদানে শহরের ও শিক্ষিত সচেতন অভিভাবকের ছেলেমেয়েরা কিছুটা উপকৃত হলেও মফস্বলের ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থী অনলাইন থেকে অনেকটা দূরে ছিল। এ কারণে যে শিক্ষার্থী এখন নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তার শিক্ষার মান সপ্তম শ্রেণির। তদুপরি বছরের এক-চতুর্থাংশ সময় অতিবাহিত হলেও এখনো সম্পূর্ণ বই না পাওয়ায় শিক্ষার মান নিুমুখী হতে বাধ্য। তাই দ্রুত সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শ্রীরামপুর, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শিক্ষার্থীরা কবে বই পাবে?
মার্চ প্রায় শেষ হচ্ছে, সামনে রমজানের বন্ধ। বন্ধ শেষ হতে হতে এপ্রিল শেষ হবে। অথচ শিক্ষার্থীরা এখনো সম্পূর্ণ বই হাতে পায়নি। চলতি শিক্ষাবর্ষে কোনো কোনো শ্রেণির বই এখনো পাওয়া যায়নি। আবার কোনো কোনো শ্রেণির বই আংশিক পাওয়া গেছে। মাদ্রাসার নবম শ্রেণির মাত্র একটা বই পাওয়া গেছে। সপ্তম শ্রেণির ১৪টি বইয়ের মধ্যে পাওয়া গেছে মাত্র সাতটি। ষষ্ঠ শ্রেণির একটি বই ধর্মীয় চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় সে বইটি তুলে নেওয়া হয়েছে, যা এ বছর আর পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এ অবস্থায় শিক্ষকরা পুরোনো বই ও শিক্ষক গাইড হাতে নিয়ে কোনোরকমে ক্লাসে সময় অতিবাহিত করছে। করোনার কারণে প্রায় দুই শিক্ষাবর্ষ পাঠদান ব্যাহত হয়েছে। অনলাইন পাঠদানে শহরের ও শিক্ষিত সচেতন অভিভাবকের ছেলেমেয়েরা কিছুটা উপকৃত হলেও মফস্বলের ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থী অনলাইন থেকে অনেকটা দূরে ছিল। এ কারণে যে শিক্ষার্থী এখন নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তার শিক্ষার মান সপ্তম শ্রেণির। তদুপরি বছরের এক-চতুর্থাংশ সময় অতিবাহিত হলেও এখনো সম্পূর্ণ বই না পাওয়ায় শিক্ষার মান নিুমুখী হতে বাধ্য। তাই দ্রুত সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শ্রীরামপুর, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা