Logo
Logo
×

বাতায়ন

অবশেষে এ কে খন্দকারের বোধোদয়

Icon

লে. কর্নেল এটিএম মহিউদ্দিন সেরনিয়াবাত (অব.)

প্রকাশ: ২১ জুন ২০১৯, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

অবশেষে এ কে খন্দকারের বোধোদয়

এ কে খন্দকার। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এবং তা-ও প্রায় অর্ধশতাব্দী হয়ে গেল। অথচ স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে মনগড়া কল্পকাহিনী, বিভ্রান্তির শেষ নেই। স্বাধীনতার প্রথম দশকে এ ইতিহাস বিকৃতি না ঘটলেও ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতা লাভের পর প্রথমে নিচুস্বরে এবং পরে অত্যন্ত দৃঢ়কণ্ঠে মেজর জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে বসে।

অথচ ১৯৭১-এর ২৭ মার্চ মেজর জিয়া তার ইউনিটের সেনাসদস্য, বন্ধুমহল ও পরিবার ভিন্ন কারও কাছে পরিচিত ছিলেন না। তিনি কোনো নির্বাচিত রাজনৈতিক দল কিংবা বিপ্লবী গ্রুপ বা সংগঠনের প্রধান ছিলেন না। অতএব একটি দেশ ও জাতির পক্ষে তিনি কোন প্রাধিকার বলে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারেন? জীবনের শেষ ছয়টি বছর এ জেনারেল দোর্দণ্ড প্রতাপে বাংলাদেশ শাসন করলেও একটিবারের জন্যও কখনও নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেননি। এখন যারা তাকে ঘোষক দাবি করছেন তা কেবল ব্যক্তিস্বার্থ, দল ও সুযোগমতো ক্ষমতায় গেলে পদ পাওয়ার জন্য মিথ্যাচার।

২০১৪ সালে আকস্মিকভাবে ‘১৯৭১ : ঘরে বাইরে’ একটি বই প্রকাশ পেলে চারদিকে হইচই পড়ে যায়। নিন্দার ঝড় ওঠে। সংশ্লিষ্ট প্রথমা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইটির ৩২নং পৃষ্ঠায় একটি ঐতিহাসিক ভুল তথ্য ছাপা হয়। ৭ মার্চ ১৯৭১ সালে ঢাকার রমনা রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু যে ঐতিহাসিক বক্তৃতা দিয়েছিলেন, সেই বক্তৃতাকে ঘিরেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এই আহ্বানে সাড়া দিয়েই ২৫ মার্চ বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং যুদ্ধশেষে স্বাধীনতার পতাকা নিয়ে ঘরে ফিরেছিল।

এ বইয়ের লেখকও এর ব্যতিক্রম নন এবং বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত এক মুক্তিযোদ্ধা। তার নাম এয়ার ভাইস মার্শাল আবদুল করিম খন্দকার। তার রচিত বইয়ে তিনি দাবি করেন, ৭ মার্চ বক্তৃতা শেষে বঙ্গবন্ধু ‘জয় পাকিস্তান’ উচ্চারণ করে রেসকোর্স ময়দান ত্যাগ করেছিলেন।

জনাব খন্দকার আমার অপেক্ষা সশস্ত্র বাহিনীতে এত বেশি সিনিয়র যে, ১৯৫১ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে যোগ দেয়ার অনেক পর আমি এ পৃথিবীর আলো দেখেছি। অপরদিকে তিনি ইউনিফর্ম ত্যাগের অনেক বছর পর আমি সেনাবাহিনীর উর্দি গায়ে জড়িয়েছিলাম। তার প্রতি রয়েছে আমার অগাধ শ্রদ্ধা ও ভক্তি। এরপরও যেহেতু তার মতো একজন ব্যক্তির কাছ থেকে একটি মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য পুঁজি করে একটি চক্র ‘১৯৭১ : ঘরে বাইরে’ বাজারজাত করেছে, পাঠকদের একটি অংশকে বিভ্রান্ত, অপর অংশকে আহত ও ক্ষুব্ধ করেছে, এ অবস্থায় ৭ মার্চ নিয়ে দু-চারটি লাইন না লিখলেই নয়। এর জন্য প্রথমেই জনাব এ কে খন্দকারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

১৯৭১ সালে আমি ছিলাম কিশোর। কিন্তু পরিবারে রাজনীতি সচেতনতা প্রবল থাকার কারণে সবকিছুই উৎসাহ নিয়ে অবলোকন করেছি বৈকি। ’৭০ সালের নির্বাচনে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের মানুষ সরকার গঠনের জন্য বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগকে ম্যান্ডেট দিয়েছিল।

সেই ম্যান্ডেটকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক কুশীলব ও মিলিটারি জান্তা ষড়যন্ত্র শুরু করে। ১ মার্চ ’৭১ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সংসদ অধিবেশন স্থগিত করলে বাঙালিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে, অস্থির আচরণ শুরু করে। ওইদিনই বঙ্গবন্ধু জাতিকে ধৈর্য ধারণ এবং নিয়মতান্ত্রিক পথে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ৭ মার্চ রমনা রেসকোর্সে আহূত জনসভায় উপস্থিত হয়ে সবাইকে পরবর্তী করণীয় জেনে আসার আহ্বান জানান। ঢাকায় বাস করছিলাম বিধায় সেদিনের ঢাকা ও রেসকোর্স ময়দান আজও স্মৃতিপটে জীবন্ত হয়ে আছে।

সেদিন ছিল রোববার, সরকারি ছুটির দিন। এদিন শুধু ঢাকা নয়, সমগ্র বাংলাদেশ যেন হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল রেসকোর্স ও এর চারপাশে। নদী-খাল-বিলে জলযান, ঢাকার সঙ্গে সংযুক্ত সব সড়ক-মহাসড়কের ওপর দিয়ে বাস, ট্রাকে, হেঁটে চলছে শুধু মানুষের মিছিল আর মিছিল। সবাই ছুটছে রেসকোর্স অভিমুখে যেখানে রচিত হতে যাচ্ছে হাজার বছরের স্বপ্নের ইতিহাস। যাদের ঢাকায় আসার সুযোগ ছিল না, তারা নিজ নিজ অবস্থানে ট্রানজিস্টর-রেডিওর সম্মুখে অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ।

ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার গৌরব থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা যায় না। রেসকোর্স যেন আর ঘোড়দৌড়ের সেই রেসকোর্স নয়, এ এক জনসমুদ্র। বিকাল ৩টার কিছু পর এখানে উপস্থিত হলেন হ্যামিলনের বংশীবাদক শেখ মুজিবুর রহমান। ‘ভাইয়েরা আমার’ সম্বোধনের মাধ্যমে শুরু করে কোনো প্রকার কাগুজে সহায়তা ছাড়া সাবলীল, চলিত ভাষায়, সবার বোধগম্য মাত্র ১৮ মিনিটের যে বক্তৃতা তিনি করলেন তা বাংলাদেশে তো নয়ই, পৃথিবীর অন্য কোনো রাজনীতিক-সাহিত্যিক, বিশেষ ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব হয়নি এবং আদৌ সম্ভব হবে কি না সন্দেহ।

বক্তৃতার প্রতিটি বাক্য-শব্দ যেন বন্দুকের নল থেকে ছড়িয়ে পড়ছিল তপ্ত বুলেটের মতো। তা রক্ত ঝরাচ্ছে না, তবে পুরোটা সময় একটি জাতি যেন সম্মোহিত হয়েছিল। এতদিন জেলখাটা রাজনীতিক মুজিব যেন গেরিলা যুদ্ধের সেনাপতি রূপে আত্মপ্রকাশ করলেন। সভা চলাকালে একটি হেলিকপ্টার মাথার ওপর দিয়ে উড়ে গেল। বক্তৃতার সমাপনীতে শরীরের সব শক্তি দিয়ে বঙ্গবন্ধু সিংহের মতো হুংকার ছাড়লেন ‘জয় বাংলা’। তার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে এ জনসমুদ্রের জয় বাংলা গর্জন বোধ করি টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে গেল।

পরদিন রেডিও এবং টিভিতে প্রচারিত এবং সংবাদপত্রে ছাপা হল বঙ্গবন্ধুর এ ঐতিহাসিক ভাষণ। সেই থেকে অদ্যাবধি ৭ মার্চের ভাষণ এত বেশি প্রচারিত হয়েছে যা পৃথিবীর কোনো নেতার বেলায় হয়নি। এ ভাষণের ওপর এত বই লিখিত হয়েছে যার জুড়ি নেই। কিন্তু কোথাও বঙ্গন্ধুর কণ্ঠে ‘জয় পাকিস্তান’ শব্দ দুটির উল্লেখ নেই। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পেছনে তরুণ মুজিবের অনেক অবদান ছিল। একাধিকবার মন্ত্রী এবং দায়িত্বপূর্ণ পদে থাকাকালে ও জনসভায় অনেকবার তিনি পাকিস্তান জিন্দাবাদ উচ্চারণ করলেও ‘জয় পাকিস্তান’ শব্দটি তার কণ্ঠে কেউ কখনও শোনেনি।

১৯৬৬ সালে ছয় দফা পেশের পর সেই পাকিস্তান জিন্দাবাদও ছেড়ে দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পথেই যখন থেকে তার হাঁটা শুরু, তখন থেকেই ‘জয় বাংলা’ই ছিল তার সম্বল। আর ৭ মার্চের জনসভায় তিনি স্পষ্টভাবে যেখানে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে, রাস্তাঘাট বন্ধ করে শত্রুর এল অব সি কেটে দেয়ার মতো চূড়ান্ত নির্দেশনা দিচ্ছিলেন সেখানে তিনি আবার কীভাবে বক্তৃতার শেষে জয় পাকিস্তান বলেন! ৭ মার্চ আমরা ভূমিতে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে জয় বাংলা শুনলেও তৎকালীন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার এ কে খন্দকারই শুধু জয় পাকিস্তান শুনেছিলেন! জানি না ওই মুহূর্তে জনসভার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া হেলিকপ্টারের পাইলট কে ছিলেন। তবে কি আকাশে ভিন্ন কিছু শোনা গিয়েছিল?

এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারের বয়স নব্বই ছুঁই ছুঁই করছে। দেশের একজন সিনিয়র সিটিজেন এবং মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের কারণেও তিনি ছিলেন সম্মানিত; কিন্তু ২০১৪ সালে প্রকাশিত তার বইয়ের দুটি শব্দে তিনি নিন্দিত, বন্ধুহীন হয়ে পড়েন। ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধ ও সশস্ত্র বাহিনীর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীরাও তার বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের জন্য তাকে এড়িয়ে চলেন। তিনি মোটামুটি একঘরে এখন। অথচ এমনটি হওয়ার কথা ছিল না। ১৯৭১-এ পাকিস্তান বিমানবাহিনীর দক্ষ বৈমানিক উইং কমান্ডার খন্দকার ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। একজন চৌকশ, পেশাদার, বৈমানিক হিসেবে তার খ্যাতি ছিল।

২৫ মার্চ ’৭১ হানাদার পাকবাহিনী বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে এখানকার সশস্ত্র বাহিনীর বাঙালি সদস্যরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। অনেকে শাহাদতবরণ এবং জীবিতরা দ্রুত সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে মুক্তিবাহিনী গঠনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। জনাব খন্দকার মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ক’জন সহকর্মীসহ ত্রিপুরা হয়ে কলকাতায় উপস্থিত হন। দীর্ঘ দেড় মাস হানাদারদের সঙ্গে অবস্থানের কারণে বেশ কিছুদিন তাকে নজরদারিতে রাখা হয়। প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ অবগত ছিলেন যে, ২৫ মার্চেও জনাব খন্দকার বঙ্গবন্ধুকে পাকবাহিনীর মুভমেন্টের খবরাখবর সরবরাহ করেছিলেন। তাই জনাব তাজউদ্দীনের কারণে তিনি রক্ষা পান। জুলাই মাসে মুক্তিবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি হলে কর্নেল ওসমানী মন্ত্রী পদমর্যাদায় সর্বাধিনায়ক, কর্নেল আবদুর রব মুক্তিবাহিনী প্রধান ও উইং কমান্ডার এ কে খন্দকার উপ-প্রধান নিযুক্ত হন। এখানে উল্লেখ্য, কর্নেল ওসমানী ও কর্নেল রব বেশ সিনিয়র, ইতিমধ্যে অবসরগ্রহণ করে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। ফলে ভারতীয় ও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যম সারির মাঠপর্যায়ের সব অফিসারের কাছে এ কে খন্দকারই ছিলেন লিংক ম্যান।

মিষ্টভাষী, সুশ্রী, চৌকশ খন্দকার সবার কাছে ছিলেন সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য। প্রশিক্ষণ ও প্রশাসন তদারকিতে তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। নভেম্বরে নাগাল্যান্ডে তারই উদ্যোগে গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। এটি সবাই অবগত যে, প্রটোকল নিয়ে খুব বেশি খুঁতখুঁতে দুই চিরকুমার কর্নেল ওসমানী এবং তার বন্ধু কর্নেল আবদুর রব ১৬ ডিসেম্বর ’৭১ তারিখে পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অসম্মতি জানালে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে এ কে খন্দকারকেই বেছে নেয়া হয়েছিল।

স্বাধীনতা-পরবর্তী বঙ্গবন্ধু সরকার তাকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমানবাহিনী প্রধান নিযুক্ত ও যুদ্ধকালে ভূমিকার জন্য বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার অব্যবহিত পর তিনি কাপুরুষের মতো খুনি মোশতাক সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। ১৭ আগস্ট তিনি চাকরিচ্যুত হন। বিস্ময়ের ব্যাপার মাত্র এক বছর অবসর জীবনযাপনের পর জেনারেল জিয়ার শাসনামলে তিনি হাইকমিশনার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় ছয় বছর এবং পরে জেনারেল এরশাদের শাসনকালে চার বছর ভারতে হাইকমিশনার ও ’৯০ পর্যন্ত উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।

একুশ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলে জনাব খন্দকার সংসদ সদস্য এবং ২০০৯ সালে মন্ত্রিত্ব লাভ করেন। সম্ভবত ভাগ্যের বরপুত্র বলে এসব লোককেই। জনশ্রুতি আছে, তারপরও রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে খালি চেয়ারটির প্রতি তার দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছিল। কিন্তু স্বপ্নভঙ্গ হলে তিনি অভিমান ও ক্ষুব্ধ হন। অনেকেই মনে করেন, ওই কেদারায় বসতে না পারার যাতনা থেকেই মূলত জয় পাকিস্তানের জন্ম। কিন্তু এক জনমে কি সব পাওয়া যায়?

যাই হোক, ২০১৪ সালে ‘১৯৭১ : ঘরে বাইরে’ প্রকাশের পাঁচ বছর পর সম্প্রতি জনাব খন্দকার নিজের ভুল স্বীকার করে বঙ্গবন্ধু ও জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তার সৎ সাহস ও বোধোদয়ের জন্য সাধুবাদ জানাই। ব্যক্তিগতভাবে তাকে জানাই সালাম। বাঙালিরা জাতিগতভাবে উদার। নিশ্চয়ই সাময়িক উত্তেজনা ও হতাশার কারণে লেখা এ কে খন্দকারের তথ্যে আহত ও ক্ষুব্ধ তার শুভাকাক্সক্ষীরা আবারও তাকে ক্ষমা করেছেন। খন্দকারের পথ ধরে অন্যান্য ইতিহাস বিকৃতকারী রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবী মহল নিজেদের কলুষমুক্ত করবেন, এটাই তাদের কাছে সর্বশেষ প্রত্যাশা।

এটিএম মহিউদ্দিন সেরনিয়াবাত : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা

এ কে খন্দকার

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম