ঋণখেলাপির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন
যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ছিলেন দেশের শিল্প খাতের একজন সফল উদ্যোক্তা। যেখানে হাত দিয়েছেন সেখানে সোনা ফলিয়েছেন ক্ষণজন্মা এ শিল্পোদ্যোক্তা। এক পা-দু’পা ফেলে এগিয়েছেন অনেক দূর। গড়েছেন বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান। সৃষ্টি করেছেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান।
এসব উদ্যোগ সফল করতে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন তিনি। কিন্তু কখনও খেলাপি ছিলেন না। এমন কি মৃত্যুকালেও তিনি এক টাকা খেলাপি ঋণ রেখে যাননি। অথচ তার থেকে অনেক ছোট উদ্যোক্তা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা আর ফেরত দেননি। সে কারণে আজ বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণে ডুবতে বসেছে ব্যাংকিং খাত।
নুরুল ইসলাম শুধু নিজে খেলাপিমুক্ত ছিলেন- ব্যাপারটা এমন নয়। তিনি একাধারে দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও খেলাপি ঋণের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন। কখনও কোনো দুর্নীতিবাজের সঙ্গে সমঝোতা করেননি। ছিলেন আপসহীন। তার সৃষ্টি যুগান্তর সাহসী কলম এবং যমুনা টিভি সাহসী কণ্ঠ সব সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্ছার ছিল এবং আছে। সাধারণত পত্রিকার মালিকরা গা বাঁচিয়ে চলেন। কিন্তু নুরুল ইসলাম ছিলেন ব্যতিক্রম। এজন্য তাকে অনেক মূল্যও দিতে হয়েছে। সব সময় চাপে থাকতেন।
বাংলাদেশের বড় রোগ অর্থ পাচার। প্রতি বছর বিপুল অঙ্কের টাকা ডলারে পরিবর্তন হয়ে চলে যাচ্ছে বিদেশে। কাঁড়ি কাঁড়ি মুদ্রা নিয়ে এক শ্রেণির অসাধু চক্র সেখানে গড়ে তুলছে ‘সেকেন্ড হোম’। বিশেষ করে সিঙ্গাপুর, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে এটা অহরহ ঘটছে। এসব অর্থ পাচারের তীব্র বিরোধী ছিলেন নুরুল ইসলাম। যার বহির্প্রকাশ হতো যুগান্তরের মাধ্যমে। এর পেছনে ছায়া হয়ে ছিলেন যুগান্তরের মালিক নুরুল ইসলাম।
লেখক : সাবেক ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ঋণখেলাপির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন
যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ছিলেন দেশের শিল্প খাতের একজন সফল উদ্যোক্তা। যেখানে হাত দিয়েছেন সেখানে সোনা ফলিয়েছেন ক্ষণজন্মা এ শিল্পোদ্যোক্তা। এক পা-দু’পা ফেলে এগিয়েছেন অনেক দূর। গড়েছেন বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান। সৃষ্টি করেছেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান।
এসব উদ্যোগ সফল করতে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন তিনি। কিন্তু কখনও খেলাপি ছিলেন না। এমন কি মৃত্যুকালেও তিনি এক টাকা খেলাপি ঋণ রেখে যাননি। অথচ তার থেকে অনেক ছোট উদ্যোক্তা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা আর ফেরত দেননি। সে কারণে আজ বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণে ডুবতে বসেছে ব্যাংকিং খাত।
নুরুল ইসলাম শুধু নিজে খেলাপিমুক্ত ছিলেন- ব্যাপারটা এমন নয়। তিনি একাধারে দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও খেলাপি ঋণের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন। কখনও কোনো দুর্নীতিবাজের সঙ্গে সমঝোতা করেননি। ছিলেন আপসহীন। তার সৃষ্টি যুগান্তর সাহসী কলম এবং যমুনা টিভি সাহসী কণ্ঠ সব সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্ছার ছিল এবং আছে। সাধারণত পত্রিকার মালিকরা গা বাঁচিয়ে চলেন। কিন্তু নুরুল ইসলাম ছিলেন ব্যতিক্রম। এজন্য তাকে অনেক মূল্যও দিতে হয়েছে। সব সময় চাপে থাকতেন।
বাংলাদেশের বড় রোগ অর্থ পাচার। প্রতি বছর বিপুল অঙ্কের টাকা ডলারে পরিবর্তন হয়ে চলে যাচ্ছে বিদেশে। কাঁড়ি কাঁড়ি মুদ্রা নিয়ে এক শ্রেণির অসাধু চক্র সেখানে গড়ে তুলছে ‘সেকেন্ড হোম’। বিশেষ করে সিঙ্গাপুর, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে এটা অহরহ ঘটছে। এসব অর্থ পাচারের তীব্র বিরোধী ছিলেন নুরুল ইসলাম। যার বহির্প্রকাশ হতো যুগান্তরের মাধ্যমে। এর পেছনে ছায়া হয়ে ছিলেন যুগান্তরের মালিক নুরুল ইসলাম।
লেখক : সাবেক ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক