তিনি সব সময় দেশ নিয়ে ভাবতেন
শিল্পপতি নুরুল ইসলাম সব সময় দেশকে নিয়ে ভাবতেন। কীভাবে আরও নতুন শিল্প স্থাপন করা যায়, মানুষের কর্মসংস্থান করা যায় সে ভাবনা থেকেই ৪১টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। বর্তমান প্রজন্মের ব্যবসায়ীদের কাছে নুরুল ইসলাম একটি অনুপ্রেরণা, আলোকবর্তিকার নাম।
তার সঙ্গে খুব বেশি কথা বা যোগাযোগ হতো না। কিন্তু যতদিনই দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে, ততদিনই তিনি বলেছেন, তার সবকিছু বাংলাদেশে। দেশের বাইরে কোনো টাকা কখনোই পাচার করেনি। যা করেছেন সব দেশেই, দেশের মানুষের স্বার্থে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন, তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য করে শিল্পপতি হয়েছেন।’
প্রথম প্রজন্মের ব্যবসায়ীদের মধ্যে নুরুল ইসলাম সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন। যা পরবর্তীতে বজায় রেখেছেন। অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশে একের পর এক শিল্প গড়ে তুলেছেন। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন, যেখানে হাজারও মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তার মৃত্যুতে যে শূন্যস্থান সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। ২০০২ সালে তার সঙ্গে প্রথম পরিচয়। এরপর বিভিন্ন সময় দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। উনি সব সময় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের চিন্তা করতেন। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছেন।
নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের কাছে নুরুল ইসলামের জীবনী অনুকরণীয়-অনুসরণীয় হওয়া উচিত। তার কাজের ধরন ছিল অন্য সবার চেয়ে আলাদা। স্বতন্ত্র পরিচয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এখন অনেক নতুন উদ্যোক্তা মনে করেন, সময়টা কঠিন। কিছুই করা সম্ভব না, অল্পতেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এ ধরনের উদ্যোক্তারা নুরুল ইসলামকে অনুসরণ করতে পারেন। তিনি জমিদারি নিয়ে ব্যবসায় নামেননি। বরং শূন্য হাতে শুরু করেছেন। যৌবনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। এরপর দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী করতে শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করেন। তিলে তিলে গড়ে তোলেন বিশাল শিল্পগোষ্ঠী। এ ধরনের প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের জীবনী থেকে নতুন প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে।
লেখক : সভাপতি, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
তিনি সব সময় দেশ নিয়ে ভাবতেন
শিল্পপতি নুরুল ইসলাম সব সময় দেশকে নিয়ে ভাবতেন। কীভাবে আরও নতুন শিল্প স্থাপন করা যায়, মানুষের কর্মসংস্থান করা যায় সে ভাবনা থেকেই ৪১টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। বর্তমান প্রজন্মের ব্যবসায়ীদের কাছে নুরুল ইসলাম একটি অনুপ্রেরণা, আলোকবর্তিকার নাম।
তার সঙ্গে খুব বেশি কথা বা যোগাযোগ হতো না। কিন্তু যতদিনই দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে, ততদিনই তিনি বলেছেন, তার সবকিছু বাংলাদেশে। দেশের বাইরে কোনো টাকা কখনোই পাচার করেনি। যা করেছেন সব দেশেই, দেশের মানুষের স্বার্থে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন, তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য করে শিল্পপতি হয়েছেন।’
প্রথম প্রজন্মের ব্যবসায়ীদের মধ্যে নুরুল ইসলাম সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন। যা পরবর্তীতে বজায় রেখেছেন। অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশে একের পর এক শিল্প গড়ে তুলেছেন। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন, যেখানে হাজারও মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তার মৃত্যুতে যে শূন্যস্থান সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। ২০০২ সালে তার সঙ্গে প্রথম পরিচয়। এরপর বিভিন্ন সময় দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। উনি সব সময় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের চিন্তা করতেন। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছেন।
নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের কাছে নুরুল ইসলামের জীবনী অনুকরণীয়-অনুসরণীয় হওয়া উচিত। তার কাজের ধরন ছিল অন্য সবার চেয়ে আলাদা। স্বতন্ত্র পরিচয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এখন অনেক নতুন উদ্যোক্তা মনে করেন, সময়টা কঠিন। কিছুই করা সম্ভব না, অল্পতেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এ ধরনের উদ্যোক্তারা নুরুল ইসলামকে অনুসরণ করতে পারেন। তিনি জমিদারি নিয়ে ব্যবসায় নামেননি। বরং শূন্য হাতে শুরু করেছেন। যৌবনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। এরপর দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী করতে শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করেন। তিলে তিলে গড়ে তোলেন বিশাল শিল্পগোষ্ঠী। এ ধরনের প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের জীবনী থেকে নতুন প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে।
লেখক : সভাপতি, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)