Logo
Logo
×

ক্যাম্পাস তারুণ্য

স্বপ্ন এখন দক্ষ হাতের মুঠোয়

Icon

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

প্রচলিত উচ্চশিক্ষার ডিগ্রি নিয়েও যেখানে চাকরির বাজারে অনিশ্চয়তা বাড়ছে, সেখানে এক নতুন দিগন্তের নাম কারিগরি শিক্ষা। এসএসসি পাশের পরই চার বছরের ডিপ্লোমা কোর্সের মাধ্যমে দ্রুত কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ থাকায় এ শিক্ষাব্যবস্থা এখন অনেক তরুণের প্রধান পছন্দ হয়ে উঠছে। কিন্তু কারা আসছে এ পথে? খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, যারা দ্রুত চাকরিপ্রত্যাশী, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান, নির্দিষ্ট পেশার প্রতি আগ্রহী যারা দ্রুত অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জন করতে চায়, তারাই কারিগরি শিক্ষাকে বেছে নিচ্ছে।

ভিন্ন পথ, লক্ষ্য একই : ঢাকার একটি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাসেল আহমেদ। তার বাবা একটি ছোট মুদি দোকানের মালিক। দুই ভাই-বোনের মধ্যে রাসেল বড়। এসএসসিতে ভালো ফলাফল করলেও সাধারণ কলেজে ভর্তি না হয়ে ডিপ্লোমাতে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাবার একার আয়ে সংসার চালানো বেশ কঠিন। আমি দেখেছি, অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেও অনেকে বেকার বসে আছেন। আমার লক্ষ্য ছিল দ্রুত একটা পেশাগত দক্ষতা অর্জন করে পরিবারের পাশে দাঁড়ান। ডিপ্লোমা শেষে চাকরির ভালো সুযোগ আছে, তাই এ পথ বেছে নিয়েছি’। রাসেলের মতো হাজারো তরুণের গল্প প্রায় একই। দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষার ব্যয়ভার বহন করার মতো আর্থিক সচ্ছলতা না থাকা এবং দ্রুত চাকরির বাজারে প্রবেশ করে পরিবারের হাল ধরার তাগিদই তাদের কারিগরি শিক্ষার দিকে আগ্রহী করে তুলেছে। অন্যদিকে, কেবল অর্থনৈতিক চাপই নয়, কারও কারও কাছে কারিগরি শিক্ষা এখন আগ্রহ এবং পছন্দের বিষয়। কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী সুরাইয়া পারভীন। তার বাবা একজন সরকারি চাকরিজীবী এবং পরিবারে আর্থিক কোনো সংকট নেই। সুরাইয়া জানান, ‘আমার ছোটবেলা থেকেই আঁকাআঁকি ও নতুন কিছু তৈরির প্রতি ঝোঁক ছিল। পুথিগত বিদ্যার চেয়ে হাতে-কলমে কাজ করতে আমার বেশি ভালো লাগে। বন্ধুরা যখন নামকরা কলেজে ভর্তির জন্য দৌড়াচ্ছিল, আমি তখন নিজের আগ্রহকে প্রাধান্য দিয়ে এখানে ভর্তি হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, গতানুগতিক ডিগ্রির চেয়ে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ’। রাসেল এবং সুরাইয়ার পথ ভিন্ন হলেও দুজনেরই লক্ষ্য এক-দক্ষতাকে পুঁজি করে নিজের পায়ে দাঁড়ান।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম