Logo
Logo
×

ক্যাম্পাস তারুণ্য

বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন দেখা তারুণ্য

Icon

কাইউম খান

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

‘ছোটবেলা থেকেই আমার রোবটিক্সের প্রতি এক অদ্ভুত আকর্ষণ। টেলিভিশন বা ইন্টারনেটে যখন রোবটদের কাজ করতে দেখি, মনে হতো-‘ইশ, যদি আমিও এমন কিছু বানাতে পারতাম! সে কৌতূহল আর স্বপ্ন থেকেই শুরু হয়েছে আমার রোবটিক্সের যাত্রা’। কথাগুলো বলছিলেন সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিয়াজুল হক রিয়াজ। সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের মাঝে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিক্সের জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে এবং আগামীর উদ্ভাবক হিসাবে তাদের গড়ে তুলতে অনুষ্ঠিত হলো ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবটিক হ্যাকাথন-২০২৫’। ২৩ অক্টোবর সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুল প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এবং এমওডি অ্যাকাডেমির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সিইও নাহিদ তামান্না। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. খালেকুজ্জামান।

হ্যাকাথনের বিভিন্ন সেশনে বিশেষজ্ঞ বক্তারা আলোচনা করেন। কোয়ান্টা রোবটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জিত মন্ডল রোবটিক্সের ওপর একটি সেশন পরিচালনা করেন। এআই সেশনে বক্তব্য রাখেন টেকনোগ্রাম ও সবজান্তা এআইয়ে প্রতিষ্ঠাতা এবং জাপান বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্সের ডিরেক্টর আহমেদুল ইসলাম বাবু এবং টেকনোগ্রাম লিমিটেডের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর এএসএম রিয়াজ। এ ছাড়াও অনলাইন সেশনে অস্ট্রেলিয়া থেকে যুক্ত হন স্টেমসেল ফাউন্ডেশনের সিইও পেং চু এবং সিটিও মিরো কোস্টেকি।

অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং তাদের গতানুগতিক শিক্ষার বাইরে এসে বাস্তব সমস্যা সমাধানে উদ্বুদ্ধ করা। দিনব্যাপী এ আয়োজনে রোবটিক্স এবং এআইয়ের ওপর বিশেষ সেশন, ভিডিও প্রদর্শনী, শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং গ্রুপ ফটো সেশন অন্তর্ভুক্ত ছিল।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সিইও নাহিদ তামান্না বলেন, ‘আজকের এ হ্যাকাথন কেবল একটি প্রতিযোগিতামূলক আয়োজন নয়। এটি একটি বাস্তব অনুশীলন ক্ষেত্র, যেখানে আমাদের তরুণ মেধাবীরা একত্রিত হয়ে জটিল প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধান খুঁজবে। আমরা চাই, আমাদের আগামী প্রজন্ম শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী হবে না, তারা হবে প্রযুক্তির উদ্ভাবক ও নিয়ন্ত্রক। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার হিসাবে যুক্ত ছিল চ্যানেল আই, দৈনিক যুগান্তর এবং দ্য ডেইলি সান। ডকুমেন্টশন পার্টনার ইন্টেলিয়া, ব্রান্ডিং পার্টনার কমস্কিউ এবং ইউনিক কমিউনিকেশন। হ্যাকাথন শেষে বিশেষজ্ঞ অতিথি এবং আয়োজকদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় এবং একটি গ্রুপ ফটো সেশনের মাধ্যমে আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম