পাবিপ্রবি
প্রেস ক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
আবদুল্লাহ আল মামুন
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রতিষ্ঠার চৌদ্দো বছর পরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) একটি সাংবাদিক সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়, সমসাময়িক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েই সবচেয়ে দেরিতে সাংবাদিক সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। আর সেই সংগঠনটির নাম পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব (পাবিপ্রবি প্রেস ক্লাব)। দেখতে দেখতে এ সংগঠনটি তিন বছর শেষ করে চার বছরে পা দিল।
পাবিপ্রবি প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ১৬ অক্টোবর হলেও এ বছর তা পালন করা হয় ২৮ অক্টোবর। কারণ একটাই, সেটা হলো অতিথিদের সময়। ১৬ অক্টোবর উপাচার্যের সময় পাওয়া যায়নি, তিনি সময় দিয়েছেন ২৬ অক্টোবর। ২৬ অক্টোবর দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক ও কবি আবদুল হাই শিকদারের সময় পাওয়া যায়নি; তিনি সময় দিয়েছেন ২৮ অক্টোবর। এরপর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত হলো ২৮ অক্টোবর। এদিন তিনটি কাজ করা হয়-প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালি, আবদুল হাই শিকদারকে নিয়ে ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ স্মারক ‘বিপ্লবের দিনলিপি’ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন।
২৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকলেন অতিথিরা। এগারোটায় সবুজ রঙের টি-শার্ট পরে শুরু হয় আনন্দ র্যালি। কনভেনশন হলে হয় সেমিনার এবং স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এসএম আবদুল আওয়াল সেমিনারের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করার এক পর্যায়ে এলো প্রধান আলোচক হিসাবে কবি আবদুল হাই শিকদারের বক্তব্যের পালা। এ সময় তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পাবনার কবি বন্দে আলী মিয়া ও কবি ওমর আলীকে নিয়ে কথা বলেন। সেমিনার এবং মোড়ক উন্মোচন শেষে কবি আবদুল হাই শিকদার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের সঙ্গে বসে আড্ডা দিলেন। বিকালে বাংলা বিভাগে গিয়ে নজরুলের ওপর ৬৫ মিনিট বক্তব্য রেখে বিদায় নেন তিনি।
