রংপুর সদরে বিএনপির বঞ্চিত প্রার্থীরাও মাঠে
বিভক্ত কর্মী সমর্থকরা, সুফল পাবে জামায়াত
মাহবুব রহমান, রংপুর
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মহানগরের আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে মনোনয়ন বঞ্চিত দুই প্রার্থীও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। তারা হলেন-মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিটা রহমান। এতে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। তারা বলছেন, দলীয় বিরোধ প্রকাশ্যে আসায় যে কোনো মুহূর্তে তা সংঘাতেও রূপ নিতে পারে। তাছাড়া নির্বাচনের আগে এ বিরোধ না মিটলে এর সুফল পাবে জামায়াত।
জানা যায়, সামু প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করছেন। পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। তিনি প্রায় ৪ মাস ধরেই নির্বাচনি প্রচার চালিয়ে আসছেন। অন্যদিকে ডনের পক্ষে কয়েকদিন ধরে নগরীর জিলা স্কুল মোড়, কাচারী বাজার, টাউনহল চত্বর, সিটি বাজার, পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড় ও শাপলা চত্বরে প্রচার মিছিল হচ্ছে। এছাড়া সামুকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর নির্বাচনি প্রচার শুরু করেছেন রিটা রহমান। তিনি বলছেন, আমার থেকে যোগ্য কাউকে মনোনয়ন দিলে আমি মেনে নিতাম। যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তার নামে নানা অভিযোগ রয়েছে। তিনি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নন। তার বিরুদ্ধে দলের নেতাকর্মীরাও ক্ষুব্ধ। এদিকে এই বিরোধকে কেন্দ্র করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের আশঙ্কা এই অবস্থা বিদ্যমান থাকলে রংপুরের আসনটি বিএনপির হাতছাড়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে এর সুফল পাবে জামায়াত। এখানে জামায়াতের প্রার্থী কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মাহবুবার রহমান বেলাল। ইতোমধ্যে তিনি বিএনপি’র এই দলীয় বিরোধকে কাজে লাগিয়ে নির্বিঘ্নে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছেন, এই আসনে বিএনপির প্রার্থীদের বিরোধ নিষ্পত্তি করা জরুরি। কারণ এ আসনে বিএনপির পরেই জামায়াতের শক্ত অবস্থান। তাই দলীয় বিরোধ থাকলে এ আসনে বিএনপির জয়লাভ করা কঠিন হয়ে পড়বে। নগরীর সেনাপাড়ার এক গৃহবধূ বলেন, গত ১৭ বছর ভোট দিতে পারিনি। তাই ভেবেছিলাম প্রিয় দল বিএনপির প্রার্থীকে ভোট দেব। কিন্তু দলের প্রার্থিতা নিয়ে যে বিরোধ চলছে তা ভালো লক্ষণ নয়। এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন বলেন, কোনো প্রার্থীই চূড়ান্ত নয়। তাই আমি মনে করি আমাকে মনোনয়ন দিলে দলের পক্ষে ভালো ফলাফল করতে পারব। তাই আমার পক্ষে দলের নেতাকর্মীরা পাচার চালিয়ে যাচ্ছে। সামসুজ্জামান সামু যুগান্তরকে বলেন, আমাকে দলের পক্ষে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তাই আমি প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। এ আসনটি দলকে উপহার দিতে চাই।
