Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

রেলে লোকসানের কারণ দুর্নীতি ও অপচয়: রেলপথ উপদেষ্টা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, রেল একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠান। এর বড় কারণ, দুর্নীতি ও অপচয়। এখানে এক টাকার উন্নয়নে আড়াই টাকা খরচ হয়। দুর্নীতি ও অপচয় যাতে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছি। বুধবার ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকা-ভৈরববাজার-ঢাকা রুটে নতুন এক জোড়া কমিউটার ট্রেনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সকাল ৯টায় নতুন ট্রেনটি ভৈরববাজার থেকে এসে তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে থামে। এ সময় ট্রেনের যাত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রেলপথ উপদেষ্টা।

পরে ফাওজুল কবির খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ঢাকা ও বড় শহরের বাইরের শহরগুলোর দিকে নজর দিয়েছে। শহরের বাইরের মানুষের যে প্রয়োজন সেগুলো বোঝা এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, বিনা টিকিটে অনেকে রেল সেবা নিয়ে থাকে। এই সেবার মূল্য তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এরপরও কিছু কিছু এলাকার যাত্রী আছেন যারা ভাড়া দেন না। এভাবে চলতে থাকলে রেলসেবা বন্ধ হয়ে যাবে। আপনারা যদি দেখেন কেউ ভাড়া দিচ্ছে না তাহলে তাকে আমাদের নজরে আনবেন। যদি রেলের লোকসান আরও বাড়ে তাহলে এটাকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের রেলের সেবা কমানো ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। নরসিংদীর বাসিন্দারা আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ চাইলে রেলপথ উপদেষ্টা বলেন, সবাই নিজের বাড়ির কাছে স্টপেজ চায়। প্রত্যেকটা স্টপেজে ট্রেন দাঁড়াতে ও ছাড়তে ৫-১০ মিনিট সময় লাগে। এখন যদি একটা আন্তঃনগর ট্রেনে দশটা স্টপেজ বাড়ানো হয় তাহলে এক ঘণ্টা সময় বেশি লাগবে। এক্ষেত্রে ট্রেনের যাত্রীরা বিরক্ত হবেন। এজন্য আমরা একটা মিশ্রণ করব। আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজের সংখ্যা কম থাকবে। লোকাল কম্পিউটার ট্রেনে স্টপেজের সংখ্যা বেশি থাকবে।

তিনি বলেন, রেলে কোচ ও ইঞ্জিন সংকট রয়েছে। যেগুলো এখন রয়েছে সেগুলো দিয়ে কাজ চালানো এবং নতুন কোচ ও লোকোমোটিভ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। আজকেই (বুধবার) ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের একটি দল গণচীনে যাবে। সেখানে আমরা কোচ ও লোকোমোটিভ সংকট নিয়ে আলোচনা করব।

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে সচিব ও রেলের মহাপরিচালককে বলা হয়েছে, এক টাকা আয় করতে আমাদের আসলে কত টাকা ব্যয় হয়, সেটা বের করতে।

এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম ও রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম