Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

দ্য হিন্দুকে প্রেস সচিব

চীনের আগে ভারত যেতে চেয়েছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনে যাওয়ার আগে ভারত সফর করতে চেয়েছিলেন। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার ভারতের দ্য হিন্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

‘ইউনূস ওয়ানটেড টু ভিজিট ইনডিয়া বিফোর চায়না, বাট ডিড নট রিসিভ পজিটিভ রেসপন্স : প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম’ শিরোনামে মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য হিন্দু। শফিকুল আলম হিন্দুকে বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ২৬ মার্চ চীন সফর করবেন। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং বাংলাদেশকে চীনা বিনিয়োগের জন্য বিশেষ করে উৎপাদন খাতে একটি গন্তব্য হিসাবে তুলে ধরবেন। ড. ইউনূস ভারতের সঙ্গে উষ্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চান উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা আসলে আমাদের আগ্রহ দেখিয়েছিলাম এবং গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতীয় পক্ষকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের ভারতে দ্বিপাক্ষিক সফরের জন্য অনুরোধ করেছিলাম। চীন সফর চূড়ান্ত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে এটি করা হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত, আমরা কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি। দ্য হিন্দু প্রতিবেদনে বলছে, ড. ইউনূস হলেন দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় নেতা যাকে চার মাসের মধ্যে চীনে আতিথ্য দেওয়া হচ্ছে। এর আগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে. পি. শর্মা ওলি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে চার দিনের সফরে চীন ভ্রমণ করেছিলেন।

শফিকুল আলম আরও জানান, ড. ইউনূস চীন থেকে ফিরে আসার পর ৩-৪ এপ্রিল ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ডে আসন্ন বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সময় অধ্যাপক ইউনূস এবং মোদির মধ্যে বৈঠকের জন্য আরেকটি অনুরোধ করেছি এবং আমরা ভারতের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ২৬-২৯ মার্চ চীন সফরের সময় বিশিষ্ট চীনা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. ইউনূস। কারণ তিনি বাংলাদেশকে একটি ব্যবসাবান্ধব গন্তব্য হিসাবে উপস্থাপন করতে আগ্রহী যা চীনা উৎপাদন ইউনিটগুলোকে সঠিক ব্যবসায়িক পরিবেশ প্রদান করবে। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে চীনা বিনিয়োগকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয়, যার ফলে বাংলাদেশ বেসরকারি চীনা বিনিয়োগকে স্বাগত জানাতে পারে। সফরের এজেন্ডা সম্পর্কে শফিকুল আলম বলেন, ‘২৮ মার্চ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও অধ্যাপক ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে আতিথ্য দেওয়া হবে, যেখানে তিনি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করবেন। এছাড়া ২৭ মার্চ বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) বার্ষিক সম্মেলনেও অংশগ্রহণ করবেন ড. ইউনূস।

ড. ইউনূস এর আগে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে নিউইয়র্কে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং সে সময় ওয়াং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে ‘চীনা জনগণের পুরোনো বন্ধু’ হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম