|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কুষ্টিয়া, রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা জেলায় পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসীদের আতঙ্কে দিন কাটছে সাধারণ মানুষের। প্রায় এক দশক ধরে বিভিন্ন সন্ত্রাসীগোষ্ঠী এসব অঞ্চলে চাঁদাবাজি, খুন, দখলবাজি ও অস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী, কৃষক ও জেলেরা। কৃষকরা চাঁদা না দিলে ফসল ঘরে তুলতে পারেন না, জেলেরা প্রাণের ভয়ে নদীতে মাছ ধরতে পারেন না, এমনকি নিজের জমির খড় কাটতে কিংবা মাঠে গবাদিপশু চরাতে গেলেও চাঁদা দিতে হয়, অন্যথায় প্রাণ দিতে হয়। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীরা দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দেয়। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাঝেমধ্যেই ঘটে গোলাগুলির ঘটনা। নিরীহ মানুষ দেখলেই তারা নির্বিচারে গুলি চালায়। তাই নদী পাড়ের চরাঞ্চলের মানুষ এক ধরনের ভয়ের মধ্যে বসবাস করছেন। অনেকেই নিরাপত্তার অভাবে নিজ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। গত ৯ নভেম্বর রাজশাহীর বাঘা, পাবনার আমিনপুর ও ঈশ্বরদী এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের বিভিন্ন চরাঞ্চলে একযোগে পরিচালিত ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইটে’র মাধ্যমে বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনীর ৫৮ সদস্যকে গ্রেফতার করা হলেও মূল হোতারা এখনো ধরা পড়েনি। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনো আতঙ্ক বিদ্যমান। এ পরিস্থিতিতে চরাঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
মুহাম্মদ শাফায়াত হুসাইন, শিক্ষার্থী, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ
