কুষ্টিয়ায় পশুর হাটে হাজারও মানুষের ভিড়
স্বাস্থ্যবিধি মানেননি কেউই, কারও মুখে ছিল না মাস্ক
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
করোনা পরিস্থিতিতে কুষ্টিয়ার সবচেয়ে বড় পশুর হাটে কোনো স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই হাজারও মানুষ ভিড় করেছেন। শনিবার জেলার সদর উপজেলার আলামপুর বালিয়াপাড়া মাঠে বসে এই হাট। সেখানে সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা, কারও মুখে মাস্কই ছিল না। অথচ জেলায় প্রতিদিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় সচেতন মহল। তাদের দাবি, হাটে প্রশাসনের নজরদারি থাকা দরকার।
জানা যায়, কুষ্টিয়া অঞ্চলের পশু দেশের চাহিদা মেটাতে বড় ভূমিকা রেখে আসছে। কোরবানির ঈদের আগে এখানকার হাট-বাজার থেকে ব্যাপারীরা গরু কিনে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যায়। যদিও এবার সেরকম পরিস্থিতি নেই। জেলায় বড় পশুর হাট রয়েছে ১২টি। এসব হাট ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে আরও ছোট ছোট হাট-বাজারে বিক্রির জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার গরু-ছাগল নিয়ে আসছেন খামারিরা। শনিবার জেলার সবচেয়ে বড় হাট বসেছিল সদর উপজেলার আলামপুর বালিয়াপাড়া মাঠে। সাপ্তাহিক এই হাটে গ্রামের হাজার হাজার কৃষক গাদাগাদি করে পশু বিক্রি করতে আসেন। সেখানে ছিল না কোনো সামাজিক দূরত্ব, মানা হয়নি কোনো স্বাস্থ্যবিধি। তাছাড়া কাউকে মাস্ক পরতেও দেখা যায়নি। অথচ কুষ্টিয়ায় প্রতিদিন জ্যামিতিক হারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। শুধু সদর উপজেলায় প্রতিদিন গড়ে করোয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন ৩০ জন। শুক্রবারও জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪০ জন। এর মধ্যে শুধু সদর উপজেলায় ছিল ২৮ জন।
জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কৃষকরা কয়েক হাজার গরু নিয়ে হাটে এলেও কেনাবেচা ছিল একেবারেই কম। ক্রেতা না থাকায় অনেক কম দামে গরু বিক্রি করতে হয়েছে খামারিদের। করোনা মহামারীতে গরুর দাম না পেয়ে দিশেহারা কৃষকরা মোটা অঙ্কের লোকসানের আশঙ্কা করছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন, হাটে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ছিল। অনেক মানুষের সমাগম হয়েছিল। এত মানুষের ভিড়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে নামানো কঠিন; তবে চেষ্টা করা হয়েছে।
