Logo
Logo
×

খেলা

চট্টগ্রাম টেস্ট

ধৈর্য ধরতে বললেন কোচ

Icon

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সিলেটে হতশ্রী পারফরম্যান্সে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হেরেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে র‌্যাংকিংয়ের তলানির দল জিম্বাবুয়ের কাছে এমন হারের পর সমালোচনার ঝড় চলছে। কোনো ফরম্যাটেই বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে নেই। টেস্টে যে দল প্রায় পাঁচ বছর কোনো ম্যাচ জেতে না তাদের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে হারকে বড় ধাক্কা হিসাবে দেখছেন সমালোচকরা। আজ চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে। শঙ্কা আছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ারও। ফিল সিমন্সের কোচিংয়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশ ১৬ ম্যাচের মাত্র পাঁচটিতে জিতেছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ জিতে গেলে সমস্যার সমাধান হবে না। তবে হারলে সেটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য হবে বড় ধাক্কা। কোচ সিমন্স সবাইকে একটু ধৈর্য ধরতে বললেন। কাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বলেন, ‘অবশ্যই ধৈর্য ধরার কথা বলতে চাই। বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষদের। খেলাটির প্রতি তারা আবেগপ্রবণ। নিজেদের দলকে ভালো করতে দেখতে চায়। আমি ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করছি। আমরা ভালো খেলার জন্য ঠিকঠাক সব কাজ করার চেষ্টা করছি।’

বাংলাদেশ যেখানে যেতে চায় সেখানে পৌঁছতে সময় লাগবে বলে জানালেন সিমন্স। তিনি বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে বারবার পালাবদলের কথা বলা হয়। যেখানে যেতে চাই, সেখানে পৌঁছতে কিছুটা সময় লাগবে। ক্রিকেটারদের প্রতি আমার বার্তা হলো, আগের ম্যাচে কিছু আলগা শট ছিল এবং কিছু সফট ডিসমিসাল ছিল। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে সামনে যেন এখানে উন্নতি হয়। টানা এক-দুই-তিন টেস্ট ধরে একই কাজ করতে পারি না।’ ঘরের মাটিতে যেখানে ভালো করার কথা সেখানে টানা ছয় টেস্টে হেরেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের মতো দলের বিপক্ষেও সিলেটে প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে অলআউট হয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে দুইশ পার করলেও সেটা প্রতিপক্ষকে বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার মতো ছিল না। সিমন্স বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে দল হিসাবে ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি এবং নিজেদের সমস্যায় ফেলেছি। এখন আমাদের ভাবনা ইতিবাচক ব্র্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেট খেলা। এমন না যে, সারা দিন ব্যাটিং করে ২০০ রান করব।’

এদিকে ঢাকায় ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ নিয়ে বেশ কিছু বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। খেলোয়াড়রা একসঙ্গে বিসিবি সভাপতির কাছেও গেছেন। অন্য ক্রিকেটারদের ঘরোয়া লিগ নিয়ে এসব কর্মকাণ্ডে টেস্ট দলে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে জানালেন সিমন্স। তিনি বলেন, ‘এগুলো আমাদের কোচিং স্টাফদেরই নিশ্চিত করতে হবে যে, ক্রিকেটারদের মনোযোগে যেন ঘাটতি না হয়। তারা টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামবে। আমাদের চূড়ান্ত মিটিং যখন হবে, তখন এই ব্যাপারটিতে গুরুত্ব দিতে হবে। আগামী পাঁচদিনে শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেটই ভাবতে হবে, বাইরের কোনো কিছু নয়।’ চট্টগ্রামের উইকেট সব সময় ব্যাটিং সহায়ক হয়। এবার কেমন হতে পারে? বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘উইকেট খুবই ভালো মনে হচ্ছে। বেশ শক্ত, মসৃণ এবং কিছুটা শুষ্ক। ম্যাচের পরের দিকে কিছুটা টার্ন আশা করতে পারি, যা আমাদের জন্য সুবিধাজনক হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘নেটের উইকেটগুলো আমাদের কাছে কিছুটা মন্থর মনে হয়েছে। খেলা যত এগোবে, হয়তো স্পিন বেশ বড় ভূমিকা রাখবে এই টেস্টে।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম