Logo
Logo
×

সুস্থ থাকুন

হিপবাথ কী, কেন মলদ্বারে হিপবাথ নেবেন

Icon

ডা. ইসমাত জাহান লিমা

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

হিপবাথ কী, কেন মলদ্বারে হিপবাথ নেবেন

হিপবাথ বা মলদ্বারে গরম সেঁক অনেক সমস্যার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি চিকিৎসা প্রক্রিয়া। এটি অত্যন্ত সহজ ও সাধারণ একটি উপায়। তবে হিপবাথ নিয়ে অনেকের মনে অনেক রকম সংশয় আছে। বিশেষ করে কেন দেব, কখন দেব, কীভাবে দেব, কত দিন দেব এ ব্যপারে অনেক রকম মতভেদ আছে।

* উপকারিতা

▶ মলদ্বার পরিষ্কার রাখে।

▶ ব্যথা কমায়।

▶ ফোলা কমায়।

▶ ইনফেকশনের মাত্রা কমায়।

▶ রক্ত সরবরাহ বাড়ায়।

▶ ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি শুকায়।

* হিপবাথ কখন দেব

▶ মলদ্বারে ব্যথা (ফিসার, ফোঁড়া, থ্রম্বসিস, প্রলাপ্স ইত্যাদি) হলে।

▶ মলদ্বারে ইনফেকশন হলে।

▶ মলদ্বারের অপারেশনপরবর্তী সময়ে।

▶ মলদ্বারে ফোড়া বা ফিস্টুলা হলে।

▶ চুলকানি হলে।

* হিপবাথে কতক্ষণ বসবেন

অপারেশনের পর প্রতিবার ১৫-২০ মিনিট করে বসবেন। তবে সমস্যা যত কমে আসবে হিপবাথ নেওয়ার সময়টাও তত কমে আসবে।

* কত দিন বসবে

যত দিন সমস্যা থাকে তত দিন। তবে অপারেশনের পর যদি বাইরে কোনো ক্ষত না থাকে তাহলে হিপবাথের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে বাইরে ক্ষত থাকলে যত দিন ক্ষত থাকবে তত দিন নিতে হবে।

* গরম সেঁক বা হিপবাথ কতবার নিতে হবে

অপারেশনের পর প্রথম দিকে বলা হয় দিনে ৩ বার আর সঙ্গে যতবার পায়খানা হয় ততবার নিতে হবে। তবে ১ থেকে ২ সপ্তাহ পর শুধু যতবার পায়খানা হবে ততবার পায়খানার পরপর নেবে। এখন অনেকের প্রশ্ন থাকে, আমি তো অফিস করি তাহলে আমি কীভাবে নেব? তার ক্ষেত্রে অফিসে যাওয়ার আগে একবার নেবে এবং অফিস থেকে আসার পর নেবে।

* হিপবাথে কোনো সমস্যা হয় কি

উত্তর হচ্ছে-না। তবে পানি খুব বেশি গরম থাকলে বার্ন হতে পারে। খুব বেশি ঠান্ডা থাকলে ফ্রস্ট বাইট হতে পারে। সামান্য অস্বস্তি হতে পারে।

লেখক : কলোরেক্টাল সার্জন, সহযোগী অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম