|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আমার দেখা সমাজে আমার দেখা বাস্তব অভিজ্ঞতাগুলো হলো-মেয়েরা হাসাহাসি করলে বলে মেয়েদের এত হাসাহাসি কেন, বড় হওনি? আবার না হাসলে বলে, মন খারাপ করে থাকে; কারও সঙ্গে কথা বলে না। একটা মেয়ের বিয়ে না হলে তার বয়স হয়ে যাচ্ছে। আবার তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়ে গেলে; নিশ্চয়ই কোনো ছেলের সঙ্গে রিলেশন ছিল বা কোনো সমস্যা আছে। দুনিয়ার সব সমস্যা যেন মেয়েদের জন্য। একটা মেয়ে ফুল নিয়ে হাঁটতে পারবে না। কারণ, ফুল নিয়ে হাঁটলে মানুষ খারাপ ভাববে। অনেক সময় নিজের মা-বাবাই এ ধরনের মন্তব্য করে থাকেন।
একটা ছেলে মোটা হলো সমস্যা নেই; কিন্তু একটা মেয়ে মোটা হলে অনেক সমস্যা। মেয়েরা বেড়াতে পারবে না, হাসতে পারবে না, পছন্দের জামা পরতে পারবে না-কত রকমের যে দোষ! অনেকেই মেয়েদের বলেন, এর মতো হও, ওর মতো হও; কিন্তু কেউ বলে না নিজের মতো হও, নিজের মতো বাঁচতে শেখো।
দিন যাচ্ছে, সময় পরিবর্তন হচ্ছে, আমারাও পরিবর্তন হচ্ছি-শুধু পরিবর্তন হচ্ছে না আমাদের মানসিকতার। আমরা মেয়েদের ইচ্ছা, আবেগ, অনুভূতি, সম্মান, অধিকার নিয়ে কথা বলি; কিন্তু সেই আমরাই তাদের বেয়াদব, বেপরোয়া, চরিত্রহীন অপবাদ দিতে কুণ্ঠাবোধ করি না।
সবাই বলে কারও কথা-সমালোচনার ভয়ে পেছনে পড়ে থাকবে না। আবার সেই উপদেশ শুনতে গিয়ে একটা মেয়ের কথা আর চলার দোষ ধরা হয় সর্বত্র। এই আমাদের সমাজ। আসলে আমরা প্রতেকে সবই বুঝি; কিন্তু সমাজের ভয়, লোকের ভয় মন থেকে দূর করতে পারি না। এরকম সমাজের হাজারো প্রশ্নের উত্তর কখনো পাবে না মেয়েরা। মেয়েদের আজও মুক্তি মেলেনি। কবে মুক্তি মিলবে, সেই প্রশ্নেরও যেন উত্তর নেই।
ইতি
একজন কিশোরী
