যাই তবু এগিয়ে
জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি
রাফিয়া আক্তার
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সানায়ে তাকাইচির জন্ম ১৯৬১ সালে জাপানের নারী প্রিফেকচারে। ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নবনির্বাচিত নেতা সানায়ে তাকাইচি। জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েছেন সম্প্রতি। ভোটাভুটিতে জাপানের শাসক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) এ নারী প্রার্থী নিম্ন ও উচ্চ-দুই কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন। আর তাতেই হয়েছেন জাপানের ইতিহাসে অমর। জাপানের ‘আয়রন লেডি’ হিসাবে পরিচিত তাকাইচি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঘনিষ্ঠ অনুসারী এবং তার মতোই দৃঢ় রক্ষণশীল ভাবধারার রাজনীতিক হিসাবে পরিচিত। সচরাচর জাপানে রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ এখনো সীমিত। তাই তার এ জয়কে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসাবে দেখছে জাপানের নাগরিকরা।
তিনি এমন এক সময় ক্ষমতায় এলেন, যখন তার দল এলডিপি রাজনৈতিক কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত। দলটির জনসমর্থনও কমে যাচ্ছে উদ্বেগজনক হারে। ঠিক এমন এক সময়ে তাকাইচির জয় গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, জাপান এখনো লিঙ্গসমতার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে।
সানায়ে তাকাইচি একটি রক্ষণশীল ও জাতীয়তাবাদী রূপরেখা অনুসরণ করেন। বিদেশ নীতি, নিরাপত্তা ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে হঠাৎ উদার পরিবর্তনের চেয়ে অধিক স্থিতিশীলতা ও রক্ষণশীল চিন্তাভাবনাকে গুরুত্ব দেন তাকাইচি। তিনি ঘোষণা করেছেন, জাপানের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে, নিরাপত্তা বাড়াবে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
সানায়ে তাকাইচি প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীর পদ অলংকরণের ফলে জাপানে নারীর অগ্রযাত্রায় এটি একটি বড় ঘটনা হয়ে থাকবে। পাশাপাশি অন্য নারীদেরও রাজনীতিতে উৎসাহ জোগাবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তার এ অর্জন রাজনৈতিকভাবে কেবল ‘প্রথম’ হওয়ার রেকর্ডই নয়-একইসঙ্গে নারীর সামগ্রিক বিজয়ও।
