লাতিন আমেরিকায় মার্কিন রণতরি
হামলার ভয়ে গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি ভেনিজুয়েলার
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সোভিয়েত আমলের পুরোনো অস্ত্র-সরঞ্জাম মোতায়েন করতে শুরু করেছে ভেনিজুয়েলা সরকার। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হামলার মুখে গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভেনিজুয়েলার সেনাবাহিনী। এর অংশ হিসাবে ইতোমধ্যেই দেশজুড়ে সোভিয়েত আমলের পুরোনো অস্ত্র-সরঞ্জাম মোতায়েন করতে শুরু করেছে ভেনিজুয়েলা সরকার। মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদ্রিনো এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন, স্থল, নৌ, বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীসহ সব সামরিক ও আধা-সামরিক ইউনিটকে এই অভিযানে যুক্ত করা হচ্ছে। আলজাজিরা, রয়টার্স।
ভেনিজুয়েলাকে ঘিরে সামরিক প্রস্তুতি নাটকীয় গতিতে জোরদার করছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে মার্কিন বিমানবাহী রণতরি জেরাল্ড ফোর্ড লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। মঙ্গলবার মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, জেরাল্ড ফোর্ডের সঙ্গে আটটি যুদ্ধজাহাজ, একটি পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন ডুবোজাহাজ এবং এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ক্যারিবীয় অঞ্চলে পৌঁছেছে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভেনিজুয়েলায় স্থল অভিযান চালাতে পারে তার দেশ। তিনি বলেন, ক্যারিবীয় অঞ্চলে মাদক পাচারকারী জাহাজে একাধিক হামলার পর ‘পরবর্তী পদক্ষেপ হবে স্থলপথ’। যদিও পরে এ কথা অস্বীকার করেন তিনি। অন্যদিকে ২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেন, ট্রাম্প তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তার দেশ ও সেনাবাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলে ঘোষণা দেন তিনি। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম বেতন, প্রশিক্ষণের অভাব ও সরঞ্জামের অভাবে ভেনিজুয়েলার সামরিক বাহিনী বর্তমানে যথেষ্ট দুর্বল। এই পরিস্থিতিতে গেরিলা-ধাঁচের যুদ্ধই হয়ে উঠেছে দেশটির প্রধান প্রতিরক্ষা কৌশল। দেশজুড়ে ২৮০টির বেশি ছোট ছোট ইউনিট মোতায়েন করা হবে। যাদেরকে দিয়ে হামলা ও ধ্বংসাত্মক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। মাদুরো দাবি করেছেন, দেশের ৮০ লাখ বেসামরিক নাগরিক মিলিশিয়া প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তবে প্রতিরক্ষা সূত্রের ধারণা, প্রকৃতপক্ষে সক্রিয়ভাবে লড়াইয়ে অংশ নিতে পারে মাত্র ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষ। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাশিয়ার তৈরি কয়েক দশকের পুরোনো সামরিক সরঞ্জাম নিয়েই এই প্রস্তুতি চলছে। ভেনিজুয়েলার অস্ত্রভান্ডারের বড় অংশই সোভিয়েত যুগের পুরোনো রুশ অস্ত্র। ২০০০ সালের দিকে কেনা ২০টি সুখোই যুদ্ধবিমান এখন অচলপ্রায়। একইভাবে হেলিকপ্টার, ট্যাংক ও আইগলা ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমও পুরোনো। তবু মাদুরো দাবি করেছেন, দেশের ৫০০০ আইগলা ক্ষেপণাস্ত্র এখন সর্বত্র মোতায়েন রয়েছে।
