পিএইচডি ডিগ্রির জানা-অজানা আদিকথা: একটি বিশ্লেষণ

 ড. মো. রফিকুল ইসলাম  
০৪ জুন ২০২৩, ০৬:০০ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

সভ্যতার বিকাশে নতুন জ্ঞান-অম্বেষণ করা খুবই অপরিহার্য। আর নতুন জ্ঞান খুঁজতে হলে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। ইংরেজি রিসার্চের বাংলা প্রতিশব্দ হলো গবেষণা করা বা অনুসন্ধান করা। গবেষণা বিভিন্ন রকমের থাকলেও পিএইচডি বা ডক্টর অব ফিলোসফি এক ধরনের গবেষণা; যা একাডেমিক সর্বোচ্চ ডিগ্রি হিসেবেও পরিচিত। পিএইচডি একটি অর্জিত গবেষণামূলক ডিগ্রি; যা একজন গবেষককে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে মৌলিক কর্মের ফলস্বরূপ হিসেবে দেশ-বিদেশের কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রদান করা হয়। ইংরেজিতে পিএইচডিকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়- “পিএইচডি ইজ এন আর্নড রিসার্চ ডিগ্রি অ্যাওয়ার্ডেড টু এ ডক্টরাল ক্যানডিডেইট হু হ্যাজ ডান ইনটেনসিভ অ্যান্ড অরিজিনাল ওয়ার্ক ইনটু এ পারটিকিউল্যার সাবজেক্ট।” পিএইচডি অর্জনের মূল উদ্দেশ্য হলো একজন গবেষকের গবেষণার ক্ষেত্র নির্ধারণ করাসহ গবেষণার মান সম্পর্কে সচেতন থেকে স্বাধীনভাবে নতুনত্ব কিছু উদ্ভাবন করা; যা এর আগে কখনো করা হয়নি।

আদি ইতিহাস থেকেই ডক্টর শব্দটি সম্পর্কে জানা যায় যে, ইংরেজি ডক্টর শব্দটি মূলত ল্যাটিন ভাষা থেকে আগত একটি শব্দ। এর প্রকৃত অর্থ হলো ‘শিক্ষক’ বা ‘প্রশিক্ষক’। মধ্যযুগের সময়ে ইউরোপে ল্যাটিন ভাষায় শিক্ষা দেওয়ার জন্য একটি লাইসেন্সের প্রয়োজন হতো। যার নাম শিরোনাম ছিল লাইসেন্টিয়া দোসেনদি। এক সময় উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘শিক্ষকতার লাইসেন্স’ (লাইসেন্স টু টিচ) দেওয়ার প্রচলন ছিল। অন্যদিকে প্রফেশনাল অর্জিত তাত্ত্বিক জ্ঞানের জন্য ‘ব্যবহারের লাইসেন্স’ (লাইসেন্স টু প্র্যাকটিস) দেওয়ার প্রথাও ছিল। এ লাইসেন্সটিকে ডক্টরেটাস বলা হয়; যার ইংরেজি হলো ডক্টরেট আর এ লাইসেন্স যার থাকতো তাকে বলা হয় ডক্টর। এ ডক্টর শব্দের অর্থ হলো ‘শিক্ষক’। সতেরো শতকের দিকে জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ ডক্টরেট বা শিক্ষকতার লাইসেন্সের একটি নাম দিয়েছিল ডক্টর অব ফিলোসফি। যাকে ল্যাটিন ভাষায় ফিলোসফিয়া ডক্টর বলা হয়। এই ফিলোসফি শব্দের অর্থ দর্শন হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। এটি প্রাচীন গ্রিক শব্দ ফিলোসফিয়া থেকে উদ্ভব হয়েছে; যার আক্ষরিক অর্থটি হচ্ছে লাভ অব উইজডম বা জ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা। এক্ষেত্রে অর্থবিত্তশালী, ক্ষমতাশালী ও পদ-পদবি হলেও ডিগ্রি অর্জন করা সম্ভব নয়। যে ব্যক্তির জ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা জন্মেছে। সে ব্যক্তিই পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে পারে। ঐতিহাসিকভাবে ধর্মতত্ত্ব, আইন ও চিকিৎসাশাস্ত্র ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়। যেমন-ইতিহাস, দর্শন, সমাজনীতি, অর্থনীতি, গণিত, পদার্থ, প্রকৃতি, উদার-শিল্প, যুক্তি ও চেতনা ইত্যাদি বিষয়ে একসময় দর্শন শাস্ত্রেও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর ফলশ্রুতিতে পিএইচডি গবেষণায় এমন কোনো বিষয় নেই; যা এ বিশ্বজগৎ বা মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে না। এ কারণেই মূলত দর্শন ছাড়াও অন্য যে কোনো বিষয়ের ডিগ্রিকে পিএইচডি বলা হয়। উনবিংশ শতাব্দীতে চার্চের পাদ্রিরা ডক্টর ছিলেন। এক্ষেত্রে উক্ত চার্চের অনুমতি ছাড়া কাউকে ডক্টরেট প্রদান করা হতো না। এদিকে পোপ ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মগুরু ১২১৩ সালে ঘোষণা করেন যে, চার্চের পাশাপাশি ফ্রান্সের প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ও ডক্টরেট প্রদান করতে পারবে। এ ঘোষণার পূর্বেও প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যাথলিক চার্চের অনুমতি নিয়ে কিছু ছাত্রকে ডক্টরেট প্রদান করে। কিথ অ্যালান নোবল তার ‘চেইনজিং ডক্টরাল ডিগ্রিস: এন ইন্টারন্যাশনাল পাসপেকটিভ’ শিরোনামে বইটিতে উল্লেখ করেন যে, পৃথিবীর প্রথম ডক্টরাল ডিগ্রি ১১৫০ সালে প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে প্রদান করা হয়। 

ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে প্রথম ইউরোপে অভিসন্দর্ভ দাখিলের ভিত্তিতে অর্জিত পিএইচডি ডিগ্রির উদ্ভব ঘটে। মূলত শিক্ষকদের অধ্যয়নের অনুমতি হিসেবে এ ডিগ্রি দেওয়া হয়। সে সময়ে বর্তমানের মতো অভিসন্দর্ভ দাখিল করার প্রয়োজনীয়তা ছিল না। পরবর্তীকালে ১৬৫২ সালে প্রথম জার্মান হিসেবে এরহার্ড উইগেল পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৮৬১ সালে আমেরিকান ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বপ্রথম মোট তিনজনকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করেন। এর পূর্বে মূলত আমেরিকানরা পিএইচডি গবেষণার জন্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেতেন। ১৮৬০ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৮৮২ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ডক্টর অব সায়েন্স ডিগ্রি প্রবর্তন করলেও যুক্তরাজ্যসহ বিদেশি ছাত্রদের কাছে অভিসন্দর্ভের ভিত্তিতে অর্জিত পিএইচডি ডিগ্রি ১৯১৭ সালে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অন্যদিকে ১৮০৮ সালে জার্মানিতে ও ১৮১৯ সালে রাশিয়া এবং ১৯২৭ সালে ইতালিতে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের যাত্রা উন্মোচিত হয়। 


বিশ্বে কয়েক প্রকার ডক্টরাল ডিগ্রি দেওয়া হলেও সব ডক্টরাল ডিগ্রিই কিন্তু পিএইচডি নয়। অর্থাৎ বিভিন্ন ডিগ্রির সঙ্গে ডক্টরেট লেখা থাকলেই সেটি পিএইচডি ডিগ্রি হবে তা কিন্তু বলা যাবে না। প্রকৃতপক্ষে, সব পিএইচডি-ই ডক্টরাল ডিগ্রি। কিন্তু সব ডক্টরাল ডিগ্রি পিএইচডি নয়। যেমন-ডক্টর অব মেডিসিন (এমডি) এবং জুরিস ডক্টর বা ডক্টর অব জুরিসপ্রুডেন্স (জেডি)। এসব ডিগ্রির সঙ্গে ডক্টর থাকলেও আসলে এগুলো পিএইচডি ডিগ্রি নয়। তবে ডক্টর অব জুরিসপ্রুডেন্স আমেরিকা ও কানাডাসহ বেশ কিছু দেশে আইন বিষয়ে প্রথম ডিগ্রি প্রবর্তন করে। যা এলএলবি অনার্স ডিগ্রির সমতুল্য হিসেবে গণ্য করা হয়। আবার অনারারি বা সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রিকেও পিএইচডি বলা যায় না। তাছাড়া কিছু প্রফেশনাল ডক্টরেট ডিগ্রি রয়েছে। যা মৌলিক গবেষণামূলক ডিগ্রি হিসেবে গণ্য হয় না। যদিও তাদের নামের সাথে ডক্টর শব্দ পাওয়া যায়। যেমন-ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিসিন, এজুকেইশন, মিউজিক এবং ফার্মেসি ইত্যাদি বিষয়ে প্রফেশনাল ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয় এবং দেশভেদে বিভিন্ন বিষয়ে প্রফেশনাল ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়ে থাকে। এসব ডিগ্রির সঙ্গে ডক্টর লেখা থাকলেও পিএইচডি বলা হয় না। কারণ পিএইচডি এবং প্রফেশনাল ডক্টরেট ডিগ্রির মতো আরও এক ধরনের ডক্টরেট রয়েছে। যাকে উচ্চতর ডক্টরেট বলা হয়; কিন্তু প্রফেশনাল ডক্টরেটকে পুরোপুরি পিএইচডি বলা হয় না। তেমনি উচ্চতর ডক্টরেটও পিএইচডি ডিগ্রি নয়। ফলে উচ্চতর ডক্টরেটকে সম্মানসূচক ডক্টরেট বলা হয়। কোনো কোনো দেশে এলএলডি ও ডিসিএল পিএইচডি ডিগ্রির সমতুল্য হিসেবে বিবেচিত হয়। 

বাংলাদেশে প্রফেশনাল ডক্টরেট করার সুযোগ না থাকলেও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও কিছু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে থাকে। পিএইচডি অর্জনের জন্য একজন গবেষককে গবেষণার ক্ষেত্র নির্ধারণ করাসহ কাজের মান সম্পর্কে সচেতন থেকে দেশভেদে ৩ বছর থেকে ৪ বছর অথবা ৫ বছর পর্যন্ত এক বা একাধিক তত্ত্বাবধায়কের অধীনে কোনো একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণপূর্বক মৌলিক কর্ম করে একটি অভিসন্দর্ভ প্রস্তুত করতে হয়। তবে একজন পিএইচডি গবেষককে কোর্স ওয়ার্ক, প্রেজেন্টেশন এবং অভিসন্দর্ভ দাখিলসহ সর্বশেষ মৌখিক পরীক্ষা ইত্যাদি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গবেষণাকর্ম সমাপ্ত করতে হয়। অর্থাৎ অভিসন্দর্ভ হলো গবেষণাকর্মের দৃশ্যমান দলিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউটের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত ফরমে অফিসিয়াল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কিছুসংখ্যক কপি বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউটের অফিসে দাখিল করতে হয়। তবে দেশ ও প্রতিষ্ঠান ভেদে ভিন্নতা থাকতে পারে। পিএইচডি কোনো কোনো দেশে পূর্ণকালীন চাকরি আবার কোনো দেশে বৃত্তিমূলক গবেষণাকর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

বাংলাদেশের অনেকে দূরশিক্ষণের মাধ্যমে কোনো একটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন; যার কোনো অনুমোদন নেই। এছাড়াও ইউজিসির সদস্য বিশ্বজিৎ চন্দ্র বলেন, এ মুহূর্তে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিশেষ করে লক্ষণীয় যে, দেশে ভূয়া পিএইচডি ডিগ্রিধারীর সংখ্যা ৫ হাজার বা তারও অধিক হবে বলেই অনেকের ধারণা। উল্লেখ্য, ‘এডুকেশন মালয়েশিয়া গ্লোবাল সার্ভিসেসের’ (ইএমজিএস) একটি প্রতিনিধি দলের সাথে ইউজিসির প্রতিনিধিদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় মালয়েশিয়ার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের স্থায়ী সনদ পাওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শর্তসাপেক্ষে যৌথ উদ্যোগে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের আলোচনা হয়েছে; যা বাস্তবায়নের জন্য মালয়েশিয়ার সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার ইচ্ছা পোষণ করেন। এর মাধ্যমে গবেষণার দ্বার উন্মোচিত হবে এবং গবেষণার সুযোগ তৈরি হবে। আমাদের দেশের অনেকে অবজ্ঞা করে বলেন যে, পিএইচডি করা মানে সময়ের অপচয়। এর মূল কারণ অনেক সময় গবেষণা তত্ত্বাবধায়কের অবহেলা বা গবেষককে পর্যাপ্ত সময় না দেওয়া এবং চৌর্যবৃত্তির কারণে খুব নিম্নমানের পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের বহু অভিযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে মানসম্মত গবেষণা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান, গবেষকের দক্ষতা এবং সর্বোপরি গবেষণা তত্ত্বাবধায়কের পাণ্ডিত্যের ওপরও অনেকটা নির্ভর করে। অর্থাৎ আমাদের দেশে ইতোপূর্বে মানসম্মত গবেষণা হয়েছে। অনেক আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হয়েছে বা এখনো বিদ্যমান। যার যথেষ্ট উদাহরণ রয়েছে। এই মানসম্মত গবেষণা যা পরবর্তীকালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস থেকেও প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি সুনামের সাথে দেশে-বিদেশে আমাদের দেশের গবেষকরা গবেষণাকর্ম পরিচালনা করছে। 

দেশের পিএইচডি গবেষণার মান বাড়াতে হলে গবেষণা খাতে বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ইউজিসিকে তদারকি করতে হবে। আর একটি বিষয় না বললেই নয়। আর সেটা হলো আমাদের মাতৃভাষা বাংলায় পিএইচডি করাকে অনেকেই বিদ্রূপের দৃষ্টিতে দেখেন; যা আমাদের জন্য মোটেই কাম্য নয়। এদিকে ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন মহাদেশে যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয়; কিন্ত তাদের নিজ ভাষাতে গবেষণা করতে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে ভালো গবেষণাগুলো ইংরেজিতে অনুবাদও করা হয়; যার অসংখ্যক উদাহরণ রয়েছে। যে ভাষার জন্য বাঙালি জাতি জীবন উৎসর্গ করেছে সেই ভাষায় গবেষণা করাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উৎসাহিত করা উচিত। তাই বাংলা ভাষায় পিএইচডি অভিসন্দর্ভ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত। এর ফলে আপাময় জনসাধারণ গবেষণার বিষয়ে সম্যক ধারণা লাভ করতে সক্ষম হবে।

পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন মানেই গবেষণা থেকে বিদায় নয়। গবেষণার জগতে প্রবেশদ্বার হলো পিএইচডি। এটিকে আমরা গবেষণার হাতেখড়ি বা সূচনাও বলতে পারি। পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পর অনেকেই আর গবেষণা কাজে নিয়োজিত থাকেন না। সেক্ষেত্রে তাদের মূল উদ্দেশ্য নামের পূর্বে উপাধি বা ডক্টর শব্দটি ব্যবহার করা। এটি কিন্তু আমাদের কাম্য নয়। দেশ ও জাতির স্বার্থে নিজেকে বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজে নিয়োজিত রাখা উচিত। সেই সঙ্গে মৌলিক গবেষণার মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে নতুন নতুন জ্ঞানের সন্ধান দেওয়াই মুখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।

লেখক: গ্রন্থাগার বিভাগের প্রধান 
সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম
 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন