রাজধানীতে মেলা
জাকাতকে করের আওতায় আনা যাবে না :পরিকল্পনামন্ত্রী
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১ মে ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জাকাতকে করের আওতায় আনা যাবে না। এটা সামাজিক ও ধর্মীয় দায়বদ্ধতার বিষয়। আর করের ক্ষেত্রে অনেক সময় অনেক পরিবর্তন, পরিমার্জন ও কখনও মওকুফও করা হয়। কিন্তু জাকাতের ক্ষেত্রে তা সম্ভব না। শুক্রবার গুলশানের শুটিং ক্লাবে সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) আয়োজিত ৬ষ্ঠ জাকাত মেলা ২০১৮-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
দুই দিনব্যাপী এ মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ২০১৩ সাল শুরু হওয়া জাকাত মেলার এবারের মূল আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে জাকাত সংক্রান্ত পরামর্শ ডেস্ক, বিভিন্ন ইসলামিক বই, জাকাতভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রম উপস্থাপনসহ জাকাত আদায় কাজে সংযুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তথ্য সংবলিত স্টল। জাকাতকে বিপ্লবের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে এখন যে দারিদ্র্য জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের খুব সহজেই জাকাতের মাধ্যমে উন্নতির ধারায় আনা সম্ভব। তাই জাকাতকে বিপ্লবের আওতায় আনতেই হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান রাখবে ধর্মীয় নেতারা। এখন শুধু আমাদের প্রচারণা বাড়াতে হবে। সিজেডএমের উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) এম নুরুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক মুস্তফা জামান আব্বাসী, ইসলামী ব্যাংকার্স কনসালটেটিভ ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান একেএম নুরুল ফজল বুলবুল, পরমাণু বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এম শমসের আলী, সিজেডএমের সদস্য সচিব এএমএম নাসির উদ্দিন, সভাপতি নিয়াজ রহিম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জাকাত ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের একটি। তাই জাকাত দেয়া আমাদের অবশ্যই কর্তব্য। জাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা কাপড় বা অন্যান্য জিনিস দেই। কিন্তু তাতে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে কোনো ভূমিকা রাখে না। তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জাকাত দিলে তা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। একসঙ্গে জাকাত আদায় করতে গিয়ে অনেক মানুষ হতাহত হওয়াসহ বিভিন্ন সহিংসতার ঘটনা ঘটে। অনেকের জাকাতের প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও চাইতে পারে না বা সঠিক লোক জাকাত পায় না।
