সেনাবাহিনীকে কাছে টানছেন শাহবাজ
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পাকিস্তানের নির্বাচনে সেনাবাহিনী যে একমাত্র নিয়ামক শক্তি- এটা ভালোভাবে বুঝে ফেলেছেন শাহবাজ শরিফ।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী হতে সেনাবাহিনীকে কাছে টানছেন নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজের (পিএমএল-এন) দ্বিতীয় প্রভাবশালী এ নেতা।
তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়ী হলে দেশটির বেসামরিক সরকার ও ক্ষমতাধর সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভঙ্গুর সম্পর্ক জোড়া লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। বৃহস্পতিবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন শাহবাজ।
পিএমএল-এন জিতলে শাহবাজ হবেন প্রধানমন্ত্রী- বুধবার সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসির এ ঘোষণার পরই সেনাবাহিনীর উদ্দেশে সুর নরম করলেন তিনি।
মূলত নির্বাচনে জিততে এবং ভাই নওয়াজ শরিফকে দুর্নীতি মামলা থেকে রেহাই দিতেই তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভালো সম্পর্কের ঢোল পেটাচ্ছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। লাহোরে নিজ বাসভবনে শাহবাজ শরিফ বলেন, পাকিস্তান জেনারেল ও তার ভাই নওয়াজ শরিফের মধ্যে কয়েক বছরের বরফ জমানো সম্পর্কের বিষয়ে অগ্রগতি হওয়া দরকার।
দেশের উন্নতির জন্য সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তান ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের মতো পররাষ্ট্রনীতির প্রধান অংশগুলোতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করব আমরা।
লন্ডনে হিসাববহির্ভূত অর্থে ফ্ল্যাট কেনায় নওয়াজ ও মেয়ে মরিয়ম বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। দীর্ঘ ৭১ বছর ধরে পাকিস্তানের প্রায় অর্ধেক অংশ সরাসরি সেনাবাহনী নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এর মধ্যে ভারতের সঙ্গে জটিল সম্পর্ক ও আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদে মদদের অভিযোগের মতো বিষয় মূলত সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও সেনাপ্রধান জিয়াউল হকের সমর্থনেই ক্ষমতায় এসেছেন। কিন্তু পরের সেনাপ্রধানের সঙ্গে নওয়াজের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, এবারের নির্বাচনে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে চায় সেনাবাহিনী।
এদিকে ২৫ জুলাইয়ের নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, এটি দেশটিতে শুধু অস্থিরতাই বয়ে আনবে বলে মনে করেন পাকিস্তানের সাবেক কূটনীতিক হুসাইন হাক্কানি। তিনি বলেন, এ নির্বাচনে কোনো বিজয়ী থাকবে না।
