পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির উত্তরসূরি নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল-এন) প্রার্থী মামনুন হোসাইন। জয়ের জন্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সিনেটে ২৬৪ ভোট প্রয়োজন ছিল তার। তিনি পেয়েছেন ২৭৭টি। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে ডন, জিও টিভি, এক্সপ্রেস ট্রিবিউনসহ দেশটির গণমাধ্যমগুলো মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। সিন্ধু প্রদেশের সাবেক এ গভর্নর মামনুন হোসাইন পেশায় পোশাক ব্যবসায়ী। করাচিতে রয়েছে তার কারখানা। রাজনীতিবিদ হিসেবে অবশ্য তেমন পরিচিতি নেই তার। তবে ১৯৯৩ সালে গোলাম ইসহাক খানের সময়ে মুসলিম লীগে নওয়াজ শরিফকে নিয়ে দলে যখন সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল, তখন একবার দলের নেতৃত্ব ঘাড়ে পড়তে যাচ্ছিল তার। আর সম্প্রতি নওয়াজের আইনজীবী হিসেবেই বেশি পরিচিতি পান আইবিএ থেকে এ স্নাতক ডিগ্রিধারী। ভারতের আগ্রায় ১৯৪০ সালে জন্ম নেয়া এ মুসলিম লীগ নেতা ১৯৪৭-এ দেশবিভাগের সময় পাকিস্তানে পাড়ি জমান। এখন তার বয়স ৭৩। ৯ সেপ্টেম্বর শপথ নেবেন দেশটির ১২তম এ প্রেসিডেন্ট।
জারদারির দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) বর্জনের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মামনুনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ক্রিকেট তারকা ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ মনোনীত প্রার্থী সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ওয়াজিহুদ্দিন আহমেদ। সিনেটে তিনি পেয়েছেন মাত্র ৩৪ ভোট। এর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় এগিয়ে আনায় পিপিপি তাদের মনোনীত প্রার্থী রাজা রাব্বানিকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলির সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন মামনুন হোসাইন। বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সিনেটে ২৭৭টি ভোট পান তিনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াজিহুদ্দিন আহমেদ পান ৩৪ ভোট। আর প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলিগুলোর মধ্যে পাঞ্জাবে ৬০, সিন্ধু প্রদেশে ২৫, বেলুচিস্তানে ৫৫ এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার ২১ ইলেক্টরাল ভোট পান মামনুন। বিপরীতে পাঞ্জাবে ৪, সিন্ধু প্রদেশে ২, বেলুচিস্তানে ১ এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার ৩৬ ইলেক্টরাল ভোট পান ওয়াজিহুদ্দিন। সদস্যদের বিচারে খাইবার পাখতুনখোয়ার ৬৯ সদস্য ওয়াজিহুদ্দিনকে ভোট দিয়েছেন, বিপরীতে মামনুন পেয়েছেন ৪১ সদস্যের ভোট। অন্যগুলোর মধ্যে সিন্ধু প্রদেশে ৬৪ সদস্যের ভোট পান মামনুন, মাত্র ৫টি পান পিটিআই প্রার্থী। বেলুচিস্তানে ৫৬ সদস্যের ৫৫ জনই ভোট দিয়েছেন মুসলিম লীগ প্রার্থীকে। এ নির্বাচনে পিপিপি, এএনপি, পিএমএল-কিউ, বিএনপি-এ ও এএমএলের ১৪৮ অ্যাসেম্বলি সদস্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করেননি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসাইন
পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির উত্তরসূরি নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল-এন) প্রার্থী মামনুন হোসাইন। জয়ের জন্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সিনেটে ২৬৪ ভোট প্রয়োজন ছিল তার। তিনি পেয়েছেন ২৭৭টি। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে ডন, জিও টিভি, এক্সপ্রেস ট্রিবিউনসহ দেশটির গণমাধ্যমগুলো মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। সিন্ধু প্রদেশের সাবেক এ গভর্নর মামনুন হোসাইন পেশায় পোশাক ব্যবসায়ী। করাচিতে রয়েছে তার কারখানা। রাজনীতিবিদ হিসেবে অবশ্য তেমন পরিচিতি নেই তার। তবে ১৯৯৩ সালে গোলাম ইসহাক খানের সময়ে মুসলিম লীগে নওয়াজ শরিফকে নিয়ে দলে যখন সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল, তখন একবার দলের নেতৃত্ব ঘাড়ে পড়তে যাচ্ছিল তার। আর সম্প্রতি নওয়াজের আইনজীবী হিসেবেই বেশি পরিচিতি পান আইবিএ থেকে এ স্নাতক ডিগ্রিধারী। ভারতের আগ্রায় ১৯৪০ সালে জন্ম নেয়া এ মুসলিম লীগ নেতা ১৯৪৭-এ দেশবিভাগের সময় পাকিস্তানে পাড়ি জমান। এখন তার বয়স ৭৩। ৯ সেপ্টেম্বর শপথ নেবেন দেশটির ১২তম এ প্রেসিডেন্ট।
জারদারির দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) বর্জনের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মামনুনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ক্রিকেট তারকা ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ মনোনীত প্রার্থী সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ওয়াজিহুদ্দিন আহমেদ। সিনেটে তিনি পেয়েছেন মাত্র ৩৪ ভোট। এর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় এগিয়ে আনায় পিপিপি তাদের মনোনীত প্রার্থী রাজা রাব্বানিকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলির সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন মামনুন হোসাইন। বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সিনেটে ২৭৭টি ভোট পান তিনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াজিহুদ্দিন আহমেদ পান ৩৪ ভোট। আর প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলিগুলোর মধ্যে পাঞ্জাবে ৬০, সিন্ধু প্রদেশে ২৫, বেলুচিস্তানে ৫৫ এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার ২১ ইলেক্টরাল ভোট পান মামনুন। বিপরীতে পাঞ্জাবে ৪, সিন্ধু প্রদেশে ২, বেলুচিস্তানে ১ এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার ৩৬ ইলেক্টরাল ভোট পান ওয়াজিহুদ্দিন। সদস্যদের বিচারে খাইবার পাখতুনখোয়ার ৬৯ সদস্য ওয়াজিহুদ্দিনকে ভোট দিয়েছেন, বিপরীতে মামনুন পেয়েছেন ৪১ সদস্যের ভোট। অন্যগুলোর মধ্যে সিন্ধু প্রদেশে ৬৪ সদস্যের ভোট পান মামনুন, মাত্র ৫টি পান পিটিআই প্রার্থী। বেলুচিস্তানে ৫৬ সদস্যের ৫৫ জনই ভোট দিয়েছেন মুসলিম লীগ প্রার্থীকে। এ নির্বাচনে পিপিপি, এএনপি, পিএমএল-কিউ, বিএনপি-এ ও এএমএলের ১৪৮ অ্যাসেম্বলি সদস্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করেননি।