পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধনকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস
অতীতে অবৈধ আদেশ পালন করায় জনরোষের শিকার পুলিশ
বাসস
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পুলিশ ও জনগণের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, তা কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শাসনকালে অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশবাহিনীর সদস্যরা জনরোষের শিকার হয়েছেন। পুলিশকে জনগণের বন্ধু উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুলিশবাহিনীকে সেই ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। কোনো ব্যক্তি যদি অন্যায় বা অনিয়মের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়, সেই ব্যক্তির দ্বারা ন্যায় প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। সুতরাং কারও দ্বারা ব্যবহৃত হবেন না। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ব্রত হিসাবে নির্বাচনে নিজেদের নিয়োজিত করবেন।
ড. ইউনূস বলেন, ভবিষ্যতে কখনই যেন পুলিশবাহিনীকে দলীয় বাহিনী বা অন্যায় কাজে ব্যবহার না করা যায়, সেজন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। নির্বাচনের আগের এ সময়টা অনেক কঠিন। আপনাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে, পরাজিত শক্তি যেন কোনোভাবেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমি আগেও বলেছি, আমরা একটা যুদ্ধাবস্থায় আছি। অশুভ চক্র আমাদের স্বপ্নকে, আমাদের ঐক্যকে ভেঙে দিতে সব শক্তি নিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে। একে প্রতিহত করার জন্য আপনাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা অনেক ন্যায্য, অন্যায্য আন্দোলনে মানুষকে রাস্তায় নেমে আসতে দেখেছি। এসব পরিস্থিতিতে আপনারা অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। আশা করি একই রকম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আগামী দিনগুলোয়ও আপনারা কাজ করে যাবেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ মানুষের বন্ধু। পুলিশবাহিনীকে সেই ইমেজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রথমবারের মতো এবার পুলিশ সপ্তাহে ধর্মীয় নেতা, সাংবাদিক ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে আমি জানতে পেরেছি। এ বৈঠকে পুলিশের ওপর জনসাধারণের প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা হবে। আমার প্রত্যাশা হলো-এটি যেন চলমান থাকে। প্রতিবছর পুলিশ সপ্তাহে যেন এ ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
