শেখ হাসিনার সম্পদ বিবরণী যাচাই করবে দুদক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পদ বিবরণী যাচাই করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দেড় যুগ আগে দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রোববার মৌলভীবাজারে গণশুনানি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাই করে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। তখনই দুদকের কাছে তিনি নিজের সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরের বছরই মামলাটি বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। এদিকে রোববার ১৫ বছর আগে শেখ হাসিনার মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে দুদক। দুদকের এই আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ১৫ জুলাই তারিখ ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ রোববার এই তারিখ ধার্য করেন।
দুদকের উপপরিচালক মাসুদুর রহমানকে এ সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তার সরকারের আমলের বাস্তবায়ন হওয়া পদ্মা সেতুসহ সব মেগা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান ও পুনঃতদন্তেরও উদ্যোগ নিচ্ছে দুদক।
এদিকে ইতোমধ্যেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে পরিবারের নামে ১০ কাঠা করে মোট ছয়টি প্লটের ৬০ কাঠা জমি বরাদ্দের অভিযোগে ছয়টি মামলা করেছে দুদক। একটি মামলায় তাকে প্রধান ও বাকি পাঁচটি মামলায় সহযোগী আসামি করা হয়েছে।
হাসিনাসহ ৩২ জনের নামে মামলার আবেদন : আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র মারধর ও হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন মো. একরামুল হক নামের এক আইনজীবী। রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালতে তিনি এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এ ঘটনায় মামলা আছে কিনা আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে শাহবাগ থানা পুলিশকে তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মাহবুবুল হক হানিফ, হাছান মাহমুদ, কামরুল ইসলাম, এ আরাফাত রহমান, ডা. একেএম গোলাম রাব্বানী, জাবেদ পাটোয়ারী, আসাদুজ্জামান মিয়া, বিপ্লব কুমার সরকার, আবুল হাসান, সাজ্জাদুর রহমানসহ প্রমুখ।
