রাজস্ব নিরীক্ষা সিএজির বাইরে রাখা দুর্নীতিসহায়ক : টিআইবি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ‘সরকারি হিসাব নিরীক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নীতিগত অনুমোদন করেছে। এতে এমন কিছু বিধান রাখা হয়েছে, যা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান মহাহিসাব নিরীক্ষক (সিএজি)-কে সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টির আশঙ্কা আছে।
বৃহস্পতিবার দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও অধ্যাদেশে সিএজির জন্য রাজস্ব নিরূপণ ও আদায় নিরীক্ষার সুযোগ রাখা হয়নি। দেশি-বিদেশি যে কোনো সংস্থার সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমতির বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া বিধি প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি লাগবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত স্বার্থান্বেষী মহলের প্রভাবদুষ্ট ও অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বিব্রতকর। সংস্থাটি মনে করে, অধ্যাদেশে এ ধরনের মৌলিক দুর্বলতা বহাল রাখা সিএজির সাংবিধানিক মর্যাদাকে অবজ্ঞা ও মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিতে অনীহা। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘অধ্যাদেশের ৭ ধারায় রাজস্ব ‘নিরূপণ’ ও ‘আদায়’ নিরীক্ষার সুযোগ রাখা হয়নি। সরকারি রাজস্ব নিরূপণ ও আদায়সংক্রান্ত বিষয় সম্পূর্ণভাবে জবাবদিহির বাইরে থাকবে। রাজস্ব নিরূপণ ও আদায়ে অনিয়ম এবং যোগসাজশমূলক জালিয়াতি দেশের কর ফাঁকির অন্যতম মাধ্যম। অন্তর্বর্তী সরকার কেন বিষয়টি উপেক্ষা করছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। এক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও স্বার্থান্বেষী মহল দ্বারা সরকার প্রভাবিত হচ্ছে কি না? এ প্রশ্ন মোটেই অমূলক নয়। অথচ এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্ট তার রায়ে মহাহিসাব নিরীক্ষকের ক্ষমতা নিশ্চিত করেছেন।
