বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালার খসড়া
এফবিসিসিআই’র পরিচালক পদের সংখ্যা কমছে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সরাসরি ভোটে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচনের বিধান রেখে বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। খসড়া বিধিমালায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র পরিচালক পদ এবং অফিস বিয়ারের সংখ্যা কমিয়ে আনা হচ্ছে। একইসঙ্গে এক ব্যক্তি দু’বারের বেশি বাণিজ্য সংগঠনের নির্বাচনের অংশ না নেওয়ার বিধানও যুক্ত করা হচ্ছে।
বর্তমানে এফবিসিসিআইতে পরিচালক পদ আছে ৮০টি। এর মধ্যে মনোনীত পরিচালকের পদ আছে ৩৪টি। চেম্বার গ্রুপ থেকে ১৭টিতে এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ১৭টিতে মনোনয়ন দেওয়া হয়। বাকি ৪৬ পদের মধ্যে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ২৩টি পদে সরাসরি ভোট হয়। অফিস বিয়ারার পদ আছে ৮টি। এর মধ্যে একটি সভাপতি, একটি জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং ৬টি সহ-সভাপতি পদ আছে।
খসড়া বিধিমালায় পরিচালক পদের সংখ্যা কমিয়ে ৪৬টি করা হচ্ছে। এর মধ্যে মনোনীত পরিচালক পদের সংখ্যা ১২টি রাখা হয়েছে। চেম্বার গ্রুপ থেকে ৫ জন, অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ৫ জন, মহিলা চেম্বার গ্রুপ থেকে একজন এবং মহিলা অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে একজনকে বিনা ভোটে এফবিসিসিআই’র পর্ষদে রাখার বিধান করা হচ্ছে। অফিস বিয়ারার পদ কমিয়ে ৪টি করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি সভাপতি, একটি জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং ২টি সহ-সভাপতি পদ রাখা হচ্ছে।
৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন তৎকালীন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর ফেডারেশনের পর্ষদ বাতিল করে প্রশাসক হিসাবে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য হাফিজুর রহমানকে নিয়োগ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রশাসককে ৪ মাসের মধ্যে নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে না পারায় প্রশাসকের মেয়াদকাল আরও ১২০ দিন বাড়ানো হয়। দ্বিতীয় দফায় আরও ১২০ দিন বাড়ানোর কার্যক্রম চলমান আছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে। খসড়া বিধিমালায় বলা হয়েছে, এফবিসিসিআইসহ দেশের সব বাণিজ্য চেম্বার ও সমিতিতে এক ব্যক্তি দুই বারের বেশি ভোটে অংশ নিতে পারবে না। দুবারের পর একবার নির্বাচনে অংশ না নিয়ে পরবর্তীতে আবার নির্বাচনে অংশ নেওয়া যাবে। অবশ্য পূর্বে নির্বাচিত বা মনোনীত পরিচালকরা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না- এমন একটি বিধান খসড়া বিধিমালায় যুক্ত করা হচ্ছে বলে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে গুঞ্জন রয়েছে। এ বিধান যুক্তের খবরে সাধারণ ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ। আজ (বৃহস্পতিবার) এলিফেন্ট রোডের স্টার হোটেলে এফবিসিসিআই স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে ব্যবসায়ীদের একটি গ্রুপ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। এফবিসিসিআই স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু মোতালেব বলেন, প্রশাসক গুটিকয়েক ব্যক্তির পরামর্শে এফবিসিসিআই সংস্কার করতে উদ্যোগ নিয়েছেন। সাধারণ ব্যবসায়ীদের মতামত নেওয়া হচ্ছে না। একটি বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালার খসড়া করা হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু সেই খসড়া নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। ১২ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, তৃতীয় দফায় প্রশাসকের মেয়াদ বাড়ানো হলে দেশের সাড়ে ৪ কোটি ব্যবসায়ী তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। এফবিসিসিআই সংস্কার জরুরি, তবে সংস্কার কার্যক্রম চলছে অত্যন্ত শ্লথগতিতে। এটাই নির্বাচনের প্রধান বাধা।
