Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

ভুয়া পরিচয়ে ১২ বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চাকরি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মামা-ভাগনে মিলে বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের জালিয়াতি করেছেন। মামা বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা। তার সহায়তায় ভাগনে কোনো রকম নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ না নিয়েই জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন। ভুয়া পরিচয়ে এক যুগ বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরির পর তদন্তে ধরা পড়লেন তিনি। তার নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। তাকে নিয়োগ দিতে সহায়তাকারী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক যুগ ধরে একজনের পরিবর্তে আরেকজন চাকরি করে আসছিলেন। সম্প্রতি একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হলে ঘটনাটি ধরা পড়ে। সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি হয় আব্দুল ওয়ারেছ আনসারীর। তবে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের বদলে যোগ দেন প্রশাসন ক্যাডারে। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। নিয়োগ পেয়েও আব্দুল ওয়ারেছ আনসারী বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ না দেওয়ায় সেই সুযোগটি কাজে লাগান মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা শাহজাহান মিঞা। আব্দুল ওয়ারেছ আনসারীর জায়গায় নিজের ভাগনেকে নিয়োগ দেন। এ জন্য ভাগনের নাম বদলে আব্দুল ওয়ারেছ আনসারী রাখা হয়। আব্দুল ওয়ারেছ আনসারী নামে শাহজাহান মিঞার ভাগনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চাকরি করেন টানা ১২ বছর। অফিসার হিসাবে যোগ দিয়ে দুটি পদোন্নতি পেয়ে হয়েছেন যুগ্ম পরিচালক। সম্প্রতি এক তদন্তে এ জালিাতির ঘটনা বেরিয়ে আসার পর মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা শাহজাহান মিঞাকে বরখাস্ত করা হয়। পাশাপাশি তার ভাগনের নিয়োগও বাতিল করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, এমন আরও কোনো জালিাতির ঘটনা থাকলে সংশ্লিষ্টদের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি চাকরির নামে জালিয়াতির বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পাঠানো হবে। তারা এ বিষয়ে আরও ব্যবস্থা নেবে।

সূত্র জানায়, নিয়োগের এই জালিয়াতি বৈধ করতে নিয়োগপত্রের ছবিও বদল করা হয়। সেই সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবিও পরিবর্তন করা হয়।

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়োগে অনিয়ম, কর্মকর্তাদের বয়স পরিবর্তনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি নিয়ে যুগান্তরে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়। তারপরও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম