দেশ বাজেট ভাবনায় বক্তারা
টেকসই অর্থনীতিতে বেসরকারি বিনিয়োগের বিকল্প নেই
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
টেকসই ও কার্যকর অর্থনীতির জন্য বেসরকারি বিনিয়োগের বিকল্প নেই। এখন তলানিতে থাকা এই বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যাংক ঋণের সুবিধা বৃদ্ধি, পরিবেশ উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সংকট দূরীকরণ এবং আস্থা অর্জন জরুরি। পাশাপাশি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। কেননা অর্থনীতি ও রাজনীতি একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। বাজেটে এসব বিষয়ের প্রতিপলন প্রয়োজন। তবে শুধু বাজেট দিলেই হবে না, এটি বাস্তবায়নের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে ‘ফিসক্যাল রেসপন্সিবিলিটিজ অ্যাক্ট’ করা দরকার। দেশ টিভি আয়োজিত দেশ বাজেট ভাবনা-২০২৫-২৬ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। আগামী অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে রাজধানীর কাকরাইলের এইচআর ভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিক সুলতান মাহমুদের পরিচালনায় দেশ বাজেট ভাবনায় আলোচক ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ ও অর্থনীতি বিশ্লেষক মুমুন রশীদ। আরও ছিলেন ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. ম. তামিম, মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন, উন্নয়ন অন্বেষণের চেয়ারপারসন ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান এম মাশরুর রিয়াজ ও বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। অনুষ্ঠানে আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, রাজনীতি ও অর্থনীতি একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। তাই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। বেকারত্ব বাড়ছে এবং আগামীতে আরও বাড়বে।
এ ছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে চরম দারিদ্র্য বাড়ছে। এসব বিষয়ে বাজেটে খেয়াল রাখতে হবে। বাজেট বাস্তবায়ন করতে না পারলে কোনো জবাবদিহিতা নেই। জবাবদিহিতাহীন দেশে কিভাবে উন্নয়ন হবে। যেখানে অর্থবছরের শুরুতেই মিথ্যা দিয়ে শুরু হয়। আবার মাঝপথে গিয়ে কাটছাঁট করে বাজেট কমাতে হয়। রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্য ধরা হয় সেটিও কখনো পূরণ হয় না। এজন্য প্রয়োজন ফিসক্যাল রেসপন্সিবিলিটি অ্যাক্ট তৈরি করা। তিনি বলেন, বাজেটের দর্শন ঠিক করার কথা কেউ একজন বলেছেন। কিন্তু দর্শন ঠিক করতে রাজনৈতিক অঙ্গীকার দরকার। এখান থেকে ওখান থেকে লোক আনলে দর্শন ঠিক হবে কিভাবে? তিনি আরও বলেন, এদেশে সুযোগের বৈষম্য সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া সম্পদ, আয়, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিকসহ দুনিয়াতে যত বৈষম্য আছে তার সবই আছে বাংলাদেশে। স্থানীয় শিল্পের বিকাশ ঘটানোর পরিবেশ তৈরি করতে হবে। শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে বেকারের কারখানা খোলা ঠিক হবে না। বেকারের যে তথ্য বিবিএস দেয় তা কতটুকু সত্য আমি জানি না। বিবিএসকে আমি বিশ্বাস করি না। মিথ্যা তথ্য তৈরির কারখানা বলা যায়। সঞ্চয় কমছে। কিন্তু সঞ্চয় না হলে বিনিয়োগ হবে কিভাবে? বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
