অডিও ফাঁস নিয়ে তোলপাড়, পদচ্যুতির মুখে থাই প্রধানমন্ত্রী
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ০২:২৬ পিএম
সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারে সিনাওয়াত্রার পার্টি— সংগৃহীত ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রার কথোপকথনের অডিও ফাঁস হয়েছে। বিট্রিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ওই ফোনকলের রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ার পর নড়বড়ে হয়ে গেছে দেশটির জোট সরকার। এদিকে সিনাওয়াত্রার পদত্যাগ চাইছে থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দল ভুমজাইথাই।
হুন সেনের সঙ্গে মূলত সীমান্ত বিরোধ
নিয়ে আলোচনা করছিলেন সিনাওয়াত্রা। মে মাসে দুদেশের সীমান্তে সংঘর্ষে একজন কম্বোডিয়ান
সৈন্য নিহত হওয়ার পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও
বেড়ে গেছে।
দুদেশই নানা ধরণের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। থাইল্যান্ডের রপ্তানি পণ্য যেমন ফল, সবজি, বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট আপাতত বন্ধ আছে। থাই টিভি, নাটক ও সিনেমার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কম্বোডিয়া। এই সমস্যার সূত্রপাত বর্ডারে সেই সংঘর্ষ কেন্দ্র করে।
ভাইরাল হওয়া অডিওতে সিনাওয়াত্রা দাবি
করেন, একজন থাই সামরিক কমান্ডারকে তিনি বরখাস্ত করতে যাচ্ছেন অথবা করেছেন। ১৭ মিনিটের
ফোনকলে তিনি বলেন, ‘ওই অফিসার
শুধুমাত্র শান্ত দেখাতে চেয়েছিলেন এবং এমন কথা বলেছেন যা ঠিক ছিল না।’ সিনাওয়াত্রা
এই ফোনকলটিকে ‘আলোচনার কৌশল’
হিসেবে দেখিয়েছেন।
রয়টার্স সিনাওয়াত্রার বরাতে জানিয়েছে, কলটি তার নিজস্ব ফোন থেকে করা হয়েছিল। থাই প্রধানমন্ত্রী জানতেন না এই কলটি রেকর্ড হচ্ছে এবং তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে।
তবে ফোনালাপ ফাঁসের পর বিরোধীরা তাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলছে, সিনাওয়াত্রা থাই সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে দিয়েছেন।
দুই দেশের বিরোধের মাঝে তার ক্ষমতাসীন
জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল ভুমজাইথাই বুধবার জোট ত্যাগ করেছে। যা সংসদে সিনাওয়াত্রার
ফিউ থাই পার্টির অবস্থানকে নড়বড়ে করে দিয়েছে।
ভুমজাইথাই চলে যাওয়ার পরও সংসদে সংখ্যা
গরিষ্ঠতা নিয়ে টিকে আছে সিনাওয়াত্রার পার্টি। যদি আর কোনো জোট দল ছেড়ে যায় তবে পদ হারাতে
পারেন ফিউ থাই পার্টি। আজ জোটের আরও দুটি পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসবে সিনাওয়াত্রার পার্টি।
যদি তারা সন্তুষ্ট না হন, তবে পদ হারাতে পারেন থাই প্রধানমন্ত্রী।

-6853c313b8f63.jpg)
