মাগুরায় গঙ্গাস্নান মেলা শুরু, ঘাট উন্নয়নে অবদানের প্রতিশ্রুতি নয়নের
মাগুরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৯:৫৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মাগুরায় নবগঙ্গা নদীর পাড়ে গঙ্গারামপুর, মহম্মদপুর, শালিখা এবং সদর উপজেলার ২৮ গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্যোগে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী গঙ্গাস্নান মেলা।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকালে মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও শ্রীকৃষ্ণের নামযজ্ঞ অনুষ্ঠান। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়ন। তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-২ আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। নয়ন এ সময় ভক্তবৃন্দের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তিনি এলাকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থানখ্যাত কালীমন্দির এবং গঙ্গাস্নান ঘাটের উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।
নয়ন বলেন, আমাদের নেতা তারেক জিয়া বলেছেন- ধর্মের ঊর্ধ্বে মানুষ। বিএনপি সব ধর্মের মানুষের বসবাসের উপযোগী একটি দেশ চায়। মাগুরায় উৎসবমুখর পরিবেশে গঙ্গাস্নান উদযাপিত হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর কালীমন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত শতবর্ষী এ মেলায় মাগুরা, যশোর, নড়াইলসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ৫ সহস্রাধিক পুণ্যার্থীদের সমাগম ঘটে।
হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, গঙ্গা নদীকে মাতৃরূপে দেখা হয়। এর পানিকেও পবিত্র বলে মনে করা হয়। কথিত আছে, মৃত্যুর পর যদি মৃত ব্যক্তির ভস্ম গঙ্গায় বিসর্জন না করা হয়, তাহলে সেই আত্মার মুক্তি মেলে না।
যে কারণে পূণ্য অর্জন এবং পাপ মোচনের লক্ষ্যে সকালে গঙ্গারামপুর কালীমন্দির সংলগ্ন নবগঙ্গা নদীতে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে। নদীকে প্রণাম, স্পর্শ, অবগাহন এবং পানিপান ও পূজা অর্চনার মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের পাপ-তাপ মোচন করেন এবং জরা-ব্যাধি থেকে মুক্তির প্রার্থনা করেন।
গঙ্গাস্নান মেলার আয়োজক কমিটির সহ-সভাপতি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, হিন্দুদের বিশ্বাস অনুসারে গঙ্গা নদীতে স্নান করলে যেকোনো মানুষের সমস্ত পাপ নাশ হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, গঙ্গার পানি কখনো নষ্ট হয় না। তাই একশ বছরের অধিক কাল ধরে প্রতিবছরের এই তিথিতে এখানে ভক্তদের সমাগম ঘটে থাকে।
গঙ্গাস্নানকে কেন্দ্র করে গঙ্গারামপুর কালীমন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত মেলা এ বছর ১০৫ বছর পূরণ করছে। এ উপলক্ষে মেলা প্রাঙ্গণের কলেবর বৃদ্ধিতে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেও অধিক উৎসাহ দেখা যায়। নদী তীরে আয়োজিত গ্রামীণ মেলায় দূর-দূরান্ত থেকে আগত ব্যবসায়ীরা নানারকম পসরা সাজিয়ে বসেন।
