Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

জাতিকে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখালেন দুই নেতা: মির্জা ফখরুল

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

জাতিকে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখালেন দুই নেতা: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠকটি সফল হয়েছে-এমন মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে জাতিকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন দুই নেতা। লন্ডনে বৈঠক সফল হওয়ার মাধ্যমে তারেক রহমান তার রাষ্ট্রনায়কোচিত গুণ প্রমাণ করেছেন।

শুক্রবার লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। বৈঠকের পরপরই গাড়িতে উঠেই তারেক রহমান প্রথমে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। এরপর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকের মধ্য দিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, জাতি এই বৈঠকের অপেক্ষায় ছিল। দুই ঘণ্টার বৈঠকটি টার্নিং পয়েন্টে পরিণত হয়েছে। নির্বাচন ইস্যুতে তারেক রহমানের প্রস্তাব ছিল। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। চতুর্দিকে একটা অনিশ্চয়তা ছিল এবং অনেকে অনেক কথা বলছিল বিভিন্নভাবে। আজ এ দুই নেতা প্রমাণ করলেন যে বাংলাদেশের মানুষ এখনো প্রয়োজনের সময় ঐক্যবদ্ধ হতে পারে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন অতীতের সব ভুলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা প্রয়োজন। আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যাচ্ছি। গণতন্ত্র চর্চার বিষয়। একে অপরকে গালাগালি না করে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। বৈঠকের প্রধান ইস্যু ছিল নির্বাচন। সেক্ষেত্রে নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে আয়োজন করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টা একমত হয়েছেন। বৈঠকটি আল্লাহর রহমতে সফল হয়েছে।’ একই সঙ্গে এ বৈঠক সফল হওয়ার মাধ্যমে তারেক রহমান তার রাষ্ট্রনায়কোচিত গুণ প্রমাণ করেছেন।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। অতীতের কথা ভুলে গিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাই। প্রয়োজনে দেশের মানুষ ঐক্য গড়তে পারে। গণতন্ত্র একটা দিনের বিষয় নয়। গণতন্ত্র একটা কালচার। আমরা বিভেদ ভুলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। তিনি আরও বলেন, বৈঠকটির পরে যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত নির্বাচনের সময়সীমা উপযুক্ত নয় বলে সেটিকে এগিয়ে আনার বিষয়ে তারেক রহমানের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টা সম্মত হয়েছেন এবং তারা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন। এখন প্রয়োজন অতীতের কথা ভুলে গিয়ে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন দিয়ে জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৫ বছরের এই ফ্যাসিস্টদের ধ্বংস করা ধবংসস্তূপের মধ্যে যে কাঠামো, সেই কাঠামোকে নতুন করে একটা গণতান্ত্রিক কাঠামোয় রূপান্তরিত করার সময় এসেছে। এ বিষয়টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় ১৫ বছর পরে গণতন্ত্রের উত্তরণে আমরা একটা সুযোগ পাচ্ছি। ‘ট্রানজিশন টু ডেমোক্রেসি’, সেই পথে আমরা নিশ্চিত এগিয়ে যাচ্ছি। গত ১৫ বছরে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামে জীবনদানকারী নেতাকর্মী ও জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আত্মত্যাগকারী সব শহীদ এবং দলের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি তারেক রহমান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বৈঠকের পর আমাদের সঙ্গে ওনার কথা হয়েছে। উনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে তার মাতা আমাদের দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এবং তাকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’

এই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানোর সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মিডিয়া সেলের আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন নসু প্রমুখ।

ঘটনাপ্রবাহ: ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক


আরও পড়ুন

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম