যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপের আগে শতাধিক পণ্যে শুল্ক ছাড়
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শতাধিক পণ্য আমদানিতে শুল্ক কর হার ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবারের বাজেটে।
সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বিষয়টি উল্লেখ করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
বাজেট বক্তৃতায় তিনি জানান, আমদানি পণ্যের শুল্ক-কর হার পর্যায়ক্রমে হ্রাস করা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সংলাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১১০ টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, ৬৫ টি পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস, ৯টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার এবং ৪৪২টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা পণ্যের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সূতা, পারমাণবিক চুল্লি ও এর বিভিন্ন অংশ, বয়লার, হাইড্রলিক টার্বাইন, গ্যাস টার্বাইন, দুধ দোহনের যন্ত্র, মিল্কিং মেশিন ও দুগ্ধ খামারের যন্ত্র ও কিছু যন্ত্রাংশ।
এছাড়াও রয়েছে ওয়াইন-সেডার ও ফলের রস উৎপাদনের যন্ত্র, চিনি কলের যন্ত্র, হাঁস-মুরগির ডিম ফোটানোর যন্ত্র (ইনকিউবেটর) ও ব্রুডার এবং এগুলোর যন্ত্রাংশ, স্পিনিং মিল ও বেকারি যন্ত্র, এমআরআই যন্ত্র।
যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে, বাংলাদেশে তার চেয়ে ছয় বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্রে।
গত ২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নতুন ‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ নীতির অংশ হিসেবে শতাধিক দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের যে ঘোষণা দিয়েছেন। তাতে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ৩৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রদান করতে হবে।
এতদিন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশি পণ্যে এখন মোট শুল্ক দাঁড়াবে ৫২ শতাংশ।
পরে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে সেই ৩৭ শতাংশ বাড়তি শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হলেও আগের ১৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্ক বাংলাদেশকে দিতেই হবে।
এই বাড়তি শুল্ক দেশের প্রধান রপ্তানি বাজার যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি সক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে বলে ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা।
