ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ডাকাতের গ্রাম’ থেকে মানুষের জনপদ হয়ে উঠছে: মির্জা গালিব
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১১ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব।
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন ‘ডাকাতের গ্রাম’ থেকে মানুষের জনপদ হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজের ফেরিফয়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ওই মন্তব্য করে ঢাবি ছাত্রশিবিরের এই সাবেক সভাপতি।
মুহূর্তেই ভাইরাল হওয়া ওই পোস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্র বলেন-
‘ইসলামোফোবিক সেকুলাররা বলতে চাইতেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটা মাদ্রাসা হয়ে উঠতেছে।
আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ডাকাতদের গ্রাম’ থেকে মানুষের জনপদ হয়ে উঠতেছে।
বাঙালি মুসলমান কৃষকের সন্তানদের জনপদ, যাদের পূর্বপুরুষরা ১৯১১ সালে ‘বঙ্গভঙ্গ রদ’ হওয়ার কারণে মনে কষ্ট পেয়েছিল।
ব্রিটিশ আর কলকাতার কলোনিয়াল হ্যাংওভার কাটাইয়া এই জেনারেশান এখন ঘরে ফেরা শুরু করছে। সামনে ঈদের দিন আসবে ইনশাল্লাহ।’
এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ইসলাম বাংলাদেশের মানুষের জন্য শুধু ধর্মই নয়, এটি এই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আত্মপরিচয়ও। সাধারণত একটি দেশ বা জাতি কিছু কমন পরিচয়ের মাধ্যমে একটা কালেক্টিভ আইডেন্টিটি গড়ে তোলে। আমাদের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা আর ইসলাম ধর্ম হলো সেই কমন বৈশিষ্ট্য’।
মির্জা গালিব লেখেন, ‘আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক আধিপত্যের বিপরীতে আমরা যদি আমাদের স্বাতন্ত্র্য, স্বাধীনতা, ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে চাই, তাহলে এই বৈশিষ্ট্যগুলো আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। ইসলামী শিক্ষার প্রশ্ন তাই একই সাথে ধর্মীয় প্রশ্ন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রশ্ন এবং আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্ন।
আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমরা যদি আমাদের সন্তানদের সঠিক ইসলামী শিক্ষা, ইসলামী ইতিহাস এবং বিশেষ করে এই ভূখণ্ডের মুসলিম শাসনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস না শিখাই— তাহলে দীর্ঘমেয়াদে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে’।
শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের মাদ্রাসা ব্যবস্থায় ইসলামের আকীদা, ফিকহ যেভাবে পড়ানো হয়, ইতিহাস সেভাবে পড়ানো হয় না। স্কুল সিস্টেমে ইসলামী শিক্ষার সিলেবাস এবং শিক্ষকের গুণগত মান—দুইটাতেই সমস্যা আছে।
এই দুই ক্ষেত্রেই ইসলামী শিক্ষাকে কিভাবে আরও শক্তিশালী করা যায়—সেটা আমাদের রাজনৈতিক কর্তব্যের লিস্টের একেবারে উপরে থাকা উচিত’।

