ছেলের জানাজায় কান্নাভেজা কণ্ঠে যা বললেন জোবায়েদের বাবা
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেনের জানাজা পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বাবা মোবারক হোসেন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গনে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও দলীয় সহকর্মীদের অংশগ্রহণে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জোবায়েদের বাবা মোবারক হোসেন বলেন, আমার ছেলেকে পড়াশোনা করতে পাঠিয়েছিলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। আশা করেছিলাম, আমার ছেলে পড়াশোনা করে অনেক বড় হবে। চাকরি করবে, দেখে আমার আনন্দ লাগবে। কিন্তু আজ আমার ছেলেকে লাশ হিসেবে নিয়ে যাচ্ছি। এটা আমার জন্য কত যে বেদনার কী করে বোঝাবো!
জোবায়েদের বাবা আরও বলেন, আমি যুবায়েদের মাকে কী করে যে বুঝাবো, তার প্রাণের ছেলে আর দুনিয়াতে নেই। আমার ছেলে বড় হয়েছিল। আমি ঢাকায় ব্যবসার মাল কিনতে আসলে সে আমার সাথে থাকতো। আমি তার কাঁধে ভর দিয়ে হাঁটতাম।
মোবারক হোসেন বলেন, আমার ৫৮ বছরের জীবনের সব অর্জন শেষ। আমার প্রাণের জোবায়েদ আর নেই। আমার কোন চাওয়া পাওয়া নেই। আমি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই। আর সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করে৷
দুপুর ২ টায় অনুষ্ঠিত জানাজায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াসউদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজাম্মুল হক, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, সহ-সভাপতি কাজী জিয়াউদ্দিন বাসেত, জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল, সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন, শাখা শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকারের সভাপতি এ কে এম রাকিব , বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন।
জোবায়েদ হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই সাথে জবির কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন। গত এক বছর ধরে জোবায়েদ হোসাইন পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ১৫, নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামের বাসায় বর্ষা নামের এক ছাত্রীকে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও বায়োলজি পড়াতেন। ওই ছাত্রী বর্ষার বাবার নাম গিয়াসউদ্দিন। রোববার বিকাল ৪ টা ৪৫ মিনিটের দিকে ছাত্রীর বাসার তিন তলায় তিনি খুন হন। বাসার তিন তলার সিঁড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
