ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হত্যা: বর্ষাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম
মো. জুবায়েদ। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জুবায়েদ হত্যার ঘটনায় তার ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৯) ও তার প্রেমিক মো. মাহীর রহমানসহ (১৯) তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বংশাল থানায় এ মামলা দায়ের করেন জোবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০) ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. জোবায়েদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি টিউশন করতেন। প্রতিদিনের মত তিনি গত ১৯ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বংশাল থানাধীন ৩১নং ওয়ার্ডস্থ নুর বক্স লেন এর ১৫নং হোল্ডিং রৌশান ভিলায় বর্ষাকে পড়ানোর জন্য যান। একই তারিখে সন্ধ্যা প্রায় ৫টা ৪৮ টার সময় ছাত্রী বর্ষা জোবায়েদ হোসেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই সৈকতকে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে জানায় যে, জোবায়েদ স্যার খুন হয়ে গেছে, কে বা কারা জোবায়েদ স্যারকে খুন করে ফেলছে।
এ ঘটনার বিষয়টি একই তারিখ রাত অনুমান ৭টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. কামরুল হাসান মামলার বাদী জোবায়েদের ভাইকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান। সৈতক তার শ্যালক শরীফ মোহাম্মদকে সাথে নিয়া মোটরসাইকেলযোগে ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল রৌশান ভিলায় পৌঁছান।
সৈকত ঘটনাস্থলে গিয়ে তার পরিচিত বড় ভাই অ্যাড. ইশতিয়াক হোসাইন জিপু আমাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল রৌশান ভিলা ভবনের নিচতলা থেকে ওপরে উঠার সময় আমি ও ইশতিয়াক ভাই সিঁড়ি এবং দেয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পান। ওই ভবনের ৩য় তলার রুমের পূর্ব পার্শ্বে সিঁড়িতে নিয়ে গেলে সিঁড়ির উপর জোবায়েদ এর রক্তাক্ত লাশ উপুড় অবস্থায় দেখতে পান।
সুরতহাল প্রস্তুত করার সময় তার গলার ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখতে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনের নিকট হতে জেনে এবং আশপাশ এলাকার সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে উল্লিখিত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমার ভাইকে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার ডান পাশে আঘাত করে হত্যা করেছে মর্মে নিশ্চিত হন।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুর ৪১ ঘন্টা পর বংশাল থানা পুলিশ এই মামলা গ্রহণ করে। মামলার বাদী এনায়েত হোসেন সৈকত বলেন, আমাদের পরিবারের সকল সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করেই আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি। গতকাল আমাদের মানসিক অবস্থা ভালো না থাকায় মামলা করতে একদিন দেড়ি হয়েছে। মামলায় যারা প্রকৃত আসামি আমরা তাদের নাম উল্লেখ করেই মামলা করেছি। আমরা চাই কোন নির্দোষ ব্যক্তি যেন ফেসে না যায় যারা প্রকৃত অপরাধী তারাই শাস্তি পাক। মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করেছি তাদের সকলকেই পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা সুষ্ঠ বিচার চাই।



