নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জকসুর স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ বলে অভিযোগ তুলেছেন সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী চন্দন কুমার দাস।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর দেওয়া এক লিখিত অভিযোগে তিনি এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
চন্দন কুমার দাস অভিযোগ করেন, মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় থেকেই কয়েকজন প্রার্থী ধারাবাহিকভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আসছেন। প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলে দাবি তার। এতে কমিশনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তিনি জানান, ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা ছাত্রী হলে গিয়ে বিভিন্ন কক্ষে পানি রাখার মগ, প্লেট, স্যানিটাইজার ও ন্যাপকিন বিতরণ করেছেন; যা নির্বাচনি আচরণবিধির সরাসরি লঙ্ঘন। এছাড়া ‘জীবনের জন্য গান’ শিরোনামে আয়োজিত এক কনসার্টে ওই প্রার্থীসহ দুজনকে মঞ্চে উঠতে দেখা যায়।
অথচ নির্বাচন কমিশনের অনুমতিপত্রের ৩ নম্বর শর্তে স্পষ্ট উল্লেখ ছিল- কোনো প্রার্থী মঞ্চে উঠতে পারবেন না। একই অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে অনুদান ঘোষণাকেও তিনি আচরণবিধির ৫(গ) ধারার লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
চন্দন অভিযোগে আরও বলেন, সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী মো. রাকিবকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাবার বিতরণ করতে দেখা গেছে। এটিও আচরণবিধির ১১(ঙ) ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, প্রার্থীরা বারবার আচরণবিধি ভেঙে যাওয়ার পরও কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা নির্বাচনি পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বিধি লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানান তিনি। এছাড়া এ অভিযোগে তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
চন্দন ছাড়াও কমিশনের নির্বাচন করার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অন্যান্য প্যানেলের প্রার্থীরা। ছাত্র ফ্রন্ট সমর্থিত প্যানেল ‘মওলানা ভাসানী ব্রিগেড’-এর এজিএস প্রার্থী শামসুল আলম মারুফ ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন- ‘একেক প্যানেল একেকভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে তারা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে জকসু সার্কাসে পরিণত হবে।’
ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের এজিএস প্রার্থী শাহিন মিয়া ফেসবুকে লিখেছেন- ‘ছাত্রদল প্রতিদিন একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। নির্বাচন কমিশন কি দেখে না?’
জিএস প্রার্থী ফয়সাল মুরাদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘হল থেকে কনসার্ট, সবখানেই ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল নিয়ম ভাঙছে। কমিশন কি কাঠের চশমা পরে আছে?’
