রাতেও শিক্ষা ভবনের সামনে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১০ এএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ জারির দাবিতে রাজধানীর আব্দুল গণি রোডে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যালয় শিক্ষা ভবনের সামনে রাতেও অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
রোববার দুপুরে ১টার দিকে তারা শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান নেন। বিকাল ৩টায় তারা হাইকোর্টের মোড় অবরোধ করেন। রাত সাড়ে ৭টায় সড়ক ছেড়ে দিলেও তারা শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান নেন। রাত ১০টায় তাদের অবস্থান চলছিল।
ঢাকার সরকারি সাত কলেজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. নাঈম হাওলাদার রাতে বলেন, আমরা জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনায় হাইকোর্টের মোড় ছেড়ে দিলেও অবস্থান চলবে। আমরা রাতেও শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান করব।
এর আগে নিজ নিজ কলেজের ক্যাম্পাস থেকে নীলক্ষেত মোড়ে জড় হয়ে মিছিল সহকারে দুপুর ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের কার্যক্রম যখন চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত কাঠামো নিয়ে কলেজগুলোর শিক্ষকরা ও শিক্ষার্থীদের কয়েকটি অংশ মুখোমুখী অবস্থান নিয়েছেন।
গেল ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ বা ‘স্কুলিং’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী কলেজগুলো উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রস্তাবিত কাঠামোতে সাতটি কলেজসহ সারা দেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসাবে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতির মতো মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
তারা কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে ‘অধিভুক্তিমূলক কাঠামোতে’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।
আর কলেজগুলোর বর্তমান শিক্ষার্থীদের একাংশ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টির আইনি কাঠামো দ্রুত নিশ্চিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়ে দ্রুততম সময়ে অধ্যাদেশ জারির দাবি জানাচ্ছেন।
অপর দিকে উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতোই প্রস্তাবিত কাঠামোর বিরোধিতা করে বলছেন, ‘স্কুলিং’ কাঠামোতে কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় থাকবে না।
এ অবস্থায় অধ্যাদেশ সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়; যদিও এ প্রক্রিয়া ‘সময়সাপেক্ষ’ বলেও জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ের তরফে।

