Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

রাবিতে আওয়ামীপন্থি ডিনদের অফিসে তালা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৩ পিএম

রাবিতে আওয়ামীপন্থি ডিনদের অফিসে তালা

সকালে ডিনদের রুমে তালা দেন শিক্ষার্থীরা। সংগৃহীত ছবি

মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছয়জন আওয়ামীপন্থি ডিন স্বপদে বহাল থাকার অভিযোগকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের অপসারণের দাবিতে রোববার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় শিক্ষার্থীরা ডিনস কমপ্লেক্সে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ডিনদের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, এদিন একাধিক বিভাগের শিক্ষক ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন না। রাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) জিএস সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমরা গত তিন মাসে শিক্ষার্থীদের সংগ্রহ করা ডকুমেন্টের ভিত্তিতে একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করবো। ওই তালিকায় জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের তথ্য থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামীপন্থি ডিনদের পদত্যাগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও কেউ ক্যাম্পাসে নেই এবং কারও ছুটির বৈধ অনুমোদন পাওয়া যায়নি, যা স্পষ্টতই নিয়মবহির্ভূত। ছুটি ও ক্লাস ব্যবস্থাপনায় শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারিতা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিতর্কিত শিক্ষক নিয়োগ এবং হত্যা মামলার আসামি হয়েও শিক্ষক হিসেবে বহাল থাকা আমরা মেনে নিতে পারি না। রাজনৈতিক পরিচয় নয়, ন্যায়বিচারই আমাদের দাবি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবুর রহমান জানান, সালাউদ্দিন আম্মারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট থেকেই তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এবং শিক্ষকদের প্রতি যেন কোনও অসৌজন্য বা ক্ষতি না হয়, সে উদ্দেশ্যেই তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

প্রক্টর বলেন, ‘ডিনদের বিষয়ে উত্থাপিত দাবিটি উপ-উপাচার্যের এখতিয়ারভুক্ত। সংশ্লিষ্ট ডিনদের মেয়াদ ১৭ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী উপ-উপাচার্য চাইলে তাদের পুনরায় দায়িত্ব দিতে পারেন, অন্য কাউকে দিতে পারেন অথবা নিজেই দায়িত্বে থাকতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সবার মর্যাদা রক্ষা করাই প্রশাসনের লক্ষ্য।’

এর আগে গত রাতে জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে আওয়ামীপন্থি ডিনদের পদত্যাগ ও ফ্যাসিজমের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে ‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম