গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নুরুলদের সাক্ষাৎ
বার্গার দিয়ে নাশতা, খাসির রেজালা দিয়ে নৈশভোজ
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০১৯, ০৭:০৭ এএম
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ। ছবি : সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ডাকসুর (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নবনির্বাচিত নেতাদের বার্গার ও কেক দিয়ে নাশতা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তাদের নৈশভোজের মেন্যুতে ছিল খাসির রেজালা, কাবাব ও মিষ্টি।
শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন নবনির্বাচিত ডাকসু ও হল সংসদ নেতারা। এসময় তাদের এসব খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় বলে একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে শনিবার দুপুর ২টার কিছু সময় পর মল চত্বর থেকে ১১টি বাসে করে গণভবনের উদ্দেশে রওনা দেন ডাকসুর প্রতিনিধিরা।সাড়ে তিনটায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে পৌছান তারা।
তবে ডাকসুর ভিপি ও জিএস আলাদা বাহনে করে গণভবনে গিয়েছেন।ডাকসুর জিএস রাব্বানী অন্য প্রতিনিধিদের নিয়ে গণভবনে গিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে চড়ে।তার পাশে ছিলেন ভিপি পদে পরাজিত প্রার্থী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।
অন্যদিকে রাইড শেয়ারিং প্রাইভেট কারে করে গণভবনে যান ভিপি নুরুল হক নুর। তার পাশের সিটে বসা ছিলেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেল থেকে নির্বাচিত সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন।
সবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে চড়ে গণভবনে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত পৃথক বাহনে গেলেন ভিপি জিএস। এ নিয়ে ছাত্রসংসদের অন্য প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তবে এবিষয়ে ভিপি জিএস কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গণভবনে ভিপি নুর প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করেন।প্রধানমন্ত্রী তাকে পাশের সিটে বসান।
বিকেলে আলোচনা পর্বের আগে বার্গার, কেক আর পানীয় দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। আপ্যায়নের পর ১৮টি হল সংসদের ভিপি এক মিনিট করে বক্তব্য দেন। এরপর ডাকসু ভিপি বক্তব্য দেন। ডাকসু নেতাদের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখেন।
পরে নৈশভোজে অংশ নেন ডাকসু নেতারা। খাবারের মেন্যুতে ছিল মোরগ পোলাও, খাসির রেজালা, কাবাব ও মিষ্টি। খাওয়া শেষে কোমল পানীয়র ব্যবস্থা ছিল।
প্রসঙ্গত ২৮ বছর পর গত ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি, জালভোট, কারচুপি, কেন্দ্র দখল ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগ ছাড়া বাকি প্যানেল তা বর্জনের ঘোষণা দেয়। নির্বাচনে ডাকসুর ২৫টি পদের মধ্যে দুটি পদে কোটা সংস্কার আন্দোলনের দুই নেতা ছাড়া বাকি ২৩ পদে ছাত্রলীগের প্যানেল জয়ী হয়। নির্বাচন বাতিল চেয়ে পুনঃতফসিল দাবিতে আন্দোলন করছেন বর্জনকারীরা।
