লক্ষ্য যখন বিবিএ পড়তে পারেন আইইউবিএটিতে
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বর্তমান যুগ ব্যবসা-বাণিজ্যের যুগ আর প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে নিজেকে ভালো অবস্থানে রাখার জন্য বিবিএ ডিগ্রির কোনো তুলনা নেই। যারা চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন তারাই বিবিএ পড়েন। উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন নিয়েও অনেকে বিবিএ পড়তে আসেন।
বর্তমানে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বিবিএর সম্ভাবনা খুবই বেশি। সৃজনশীলতাকে কাজে লাগানোর সুযোগ থাকায় শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ব্যবসা–বাণিজ্যের জগতে নানা পরিবর্তন নিয়ে আসছেন। প্রতিযোগিতার এই যুগে বিবিএ পড়ে শুধু নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করাই নয়, এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।
বাংলাদেশে বিবিএ-জোয়ারটা শুরু হয়েছে মূলত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হাত ধরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও আইবিএ’র সাবেক পরিচালক শিক্ষাবিদ ড.এম আলিমউল্যা মিয়ান ১৯৯১ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) প্রতিষ্ঠা করেন। শুরু থেকেই সুনামের সঙ্গে চাকরির বাজারে নিজেদের দক্ষতা ধরে রেখেছে আইইউবিএটি’র বিবিএ গ্র্যাজুয়েটরা।
অত্যান্ত দক্ষ এবং কর্পোরেটে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে এমন শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা আইইউবিএটির বিবিএ ক্লাস পরিচালনা করা হয়ে থাকে যাতে করে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা কর্পোরেটের বাস্তব জ্ঞান অর্জন করতে পারে। বিবিএ শিক্ষার্থীদের জন্য একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ওর্য়াকশপ, সেমিনারসহ নানা ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্ব দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
শিক্ষার্থীদের এসপিএসএস এবং অ্যাডোবি ফটোশপ কোর্স দুটিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, এর ফলে শিক্ষার্থীরা রিসার্চ কিংবা পরিসংখ্যানসহ বিজনেসের প্রতিদিনের ব্যবহারিক নানা বিষয়ে এই দক্ষতা প্রয়োগ করতে পারে।
আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ শিক্ষারথীরা শুধু ক্লাশে তাত্ত্বিক জ্ঞান অর্জন করে না; সঙ্গে সঙ্গে তত্ত্বের ব্যবহারও শিখে এবং বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে হাতে কলমে কাজ করার দক্ষতা অর্জন করে।
এক সেমিস্টারের ইন্টার্নিশীপ তাদেরকে প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনে সাহায্য করে। ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার কারণে সহজেই চাকরি পায় অথবা ব্যবসায় সাফল্য লাভ করে। শিক্ষার্থীরা একাউন্টিং, ফাইন্যান্স, মার্কেটিং, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে অথবা প্রোডাকশন-অপারেশন ম্যানেজমেন্টে মেজর করতে পারেন।
আইইউবিএটির অ্যালামনাই এবং প্লেসমেন্ট অফিস থেকে অ্যালামনাই এবং অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্কের সেতু তৈরি করে দেওয়া হয়। এর ফলে শিক্ষার্থী এবং অ্যালামনাইদের মধ্যে শক্ত বন্ডিং তৈরি হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন, বৃহৎ আঙ্গিকে ক্যারিয়ার সেমিনার ও ক্যারিয়ার ফেয়ারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পেশার আদ্যোপান্ত ধারণা দেওয়া হয়।
আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান বৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিনাখরচে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে স্বনামধন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। সামার ২০১৯ সেমিস্টারের জন্য আইইউবিএটির এই বৃত্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করার নিয়ম এবং এই বৃত্তির যাবতীয় তথ্য www.iubat.edu/FMS এই ঠিকানায় পাওয়া যাবে এবং আবেদনের শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল।
এছাড়াও এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ১০০% পর্যন্ত মেধা বৃত্তি দেওয়া হয়। মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় উৎসাহিত করতে ১৫% স্পেশাল বৃত্তিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আরও ৫৭টি বৃত্তি দেওয়া হয়। মোট কথা আইইউবিএটিতে পড়াশুনা করার জন্য অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছে।
এ বিষয়ে আরও জানতে ঘুরে আসতে পারেন উত্তরা মডেল টাউন (আশুলিয়া অভিমুখী হাইওয়ে) সেক্টর ১০, উত্তরা ঢাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিশাল সবুজ ক্যাম্পাস। আইইউবিএটির ওয়েবসাইট www.iubat.edu -এ যাবতীয় তথ্য দেওয়া আছে।
