প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, “আমরা সবাই জানি মানব শিশুর সুষ্ঠু বিকাশে শিক্ষার বিকল্প নেই। শিক্ষার সামগ্রিক উন্নয়নে বর্তমান আওয়ামী সরকার বদ্ধপরিকর। বর্তমান সরকার শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সমান গুরুত্ব প্রদান করছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান মনস্কতা তৈরি করার জন্য বর্তমান সরকার গণিত অলিম্পিয়াডসহ নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা সবাই জানি পড়তে না শিখলে পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে না। এ ক্ষেত্রে রুম টু রিড বাংলাদেশ প্রাথমিক স্তরে পড়ার দক্ষতা ও অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। 

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে রুম টু রিড বাংলাদেশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট যৌথভাবে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম আল হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিফতরের মহাপরিচালক ড. এ এফ এম সনজুর কাদির,  শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দা তাহমিনা আক্তার, শিক্ষা এবং জাতীয় প্রাথকি শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক মো. শাহ আলম। 

রুম টু রিড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাখী সরকার তার স্বাগত বক্তব্যে মানসম্মত শিক্ষার উন্নয়ন এবং শিক্ষালাভের জন্য শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ ও শিশুবান্ধব পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক শ্যামলী আকবর ‘ মানসম্মত শিক্ষার জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক স্তরে বাংলা বিষয়ে পড়ার দক্ষতা ও পড়ার অভ্যাস উন্নয়ন’ - বিষয়টির ওপর উপস্থাপনা করেন। রুম টু রিড বাংলাদেশের সাক্ষরতা কর্মসূচির পরিচালক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকি এ বিষয়ে রুম টু রিড বাংলাদেশের ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর  ড. একেএম রিয়াজুল হাসান, অধ্যাপক ড. আরিফুল হক কবির, অধ্যাপক মাজহার করিম। 

রুম টু রিড একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা যা বর্তমানে বাংলাদেশের ঢাকা, নাটোর ও কক্সবাজার জেলায় ৫৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ পাঠাগার স্থাপন, শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ প্রকাশনা ও সরবরাহের মাধ্যমে ২০০৯ সাল থেকে শিশুদের পঠন দক্ষতা ও পড়ার অভ্যাস তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে।