বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ভিসি প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর উপস্থিতি-অনুপস্থিতি গণনা করে রাখার জন্য শিক্ষকদের টাঙ্গানো ‘হাজিরা বোর্ড’ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ছাড়াও গতকাল মঙ্গলবার ভিসির দফতরের দরজায় টাঙানো ডিজিটাল ব্যানারের স্মারকলিপি ও অবস্থান কর্মসূচির ব্যানার প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুলে ফেলা হয়েছে।
বুধবার বিকালে বোর্ড চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতারের দাবিতে রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে স্থানীয় তাজহাট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন শিক্ষকরা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন শিক্ষকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে ভিসির উপস্থিতি ও সাক্ষাতের দাবিতে ভিসিবিরোধী শিক্ষকদের সংগঠন ‘অধিকার সুরক্ষা পরিষদ’ ভিসির দফতরের দরজায় স্মারকলিপি সেঁটে দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
কিন্তু বুধবার ভিসি দরজার সামনের ব্যানার এবং রাসেল চত্বরের হাজিরা খাতা দেখতে না পেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত আবেদন করে থানায় জিডি করেন।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি তারা ভিসির বিরুদ্ধে অর্ধশত অনিয়ম-দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার খতিয়ান করেন এবং ১১ ফেব্রুয়ারি ভিসিকে ক্যাম্পাসে না পেয়ে বিভিন্ন দাবি সঙবলিত একটি স্মারকলিপি ডিজিটাল ব্যানারে প্রিন্ট করে ভিসির দফতরের দরজায় সেঁটে দেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সেটি সরিয়ে দেন।
এতে নিন্দা জানিয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন শিক্ষকরা। তারপরও ভিসি ক্যাম্পাসে উপস্থিত না হওয়ায় ২০ ফেব্রয়ারি মিডিয়া চত্বরে ভিসির উপস্থিতি-অনুপস্থিতির জন্য ‘হাজিরা খাতা’ শিরোনামে একটি সাদা বোর্ড টাঙিয়ে দেয়।
সেই বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৯৯১ দিনের মধ্যে ভিসি ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন ২২৭ দিন এবং অনুপস্থিত ছিলেন ৭৬৪ দিন।
অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মতিউর রহমান বোর্ড চুরি ও ব্যানার খুলে ফেলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করে যুগান্তরকে বলেন, এর আগেও প্রশাসন আমাদের টাঙানো স্মারকলিপি খুলেছিল। এতে আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা মনে করি বোর্ড চুরির ঘটনাটি এবারও প্রশাসনের পক্ষ থেকেই ঘটানো হয়েছে।
অভিনব এবং শৈল্পিক আন্দোলনে যারা অগণতান্ত্রিক এবং গোপনে চৌর্যবৃত্তির আশ্রয়ে এ সব কাজ করেছেন; তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সেটি লাগিয়ে না দিলে তাদের কঠোর হস্তে দমনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন।
সংগঠনের সদস্য সচিব খায়রুল কবীর সুমন বলেন, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে বোর্ড চুরি ও ব্যানার সরানোর ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করে আগের বোর্ডের তুলনায় বড় করে নতুন করে হাজিরা খাতা স্থাপন করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তফা কামাল, প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) আতিউর রহমানকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তাদের একাধিকবার ফোন করলেও ফোন রিসিভ করেননি।
