অবশেষে বেরোবির অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধ
বেরোবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২০, ০২:৩৭ পিএম
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
অবশেষে শর্তসাপেক্ষে করোনাভাইরাস সতর্কতায় ২৩ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া ক্যাম্পাসে দর্শনার্থী ও বহিরাগত প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সেবাসমূহসহ নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত সব কর্মচারীকে যথারীতি দায়িত্ব পালন করতে হবে।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ছুটি ঘোষণা করা হয়।
এর আগে ১৮ মার্চ থেকে একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল বন্ধের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথারীতি অফিস খোলা থাকায় এতে করে করোনাভাইরাসের আতঙ্কেও তারা অফিস করতেন। তাই আতঙ্কের কারণে ছুটির দাবি করেছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এর আগে রোববার ‘করোনাভাইরাসের আতঙ্ক: ছুটি চান বেরোবি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা’ শিরোনামে যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সকলের ছুটি ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সরকারি নির্দেশনা ও ৭০তম সিন্ডিকেটের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজে সম্পৃক্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্টেশন ত্যাগ না করে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে হবে। এছাড়াও সার্বক্ষণিক মোবাইল ফোন চালু রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে করে জরুরি প্রয়োজনে কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
তবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ফেডারেশনের নেতাদের দাবি কোনো শর্ত ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা।
তাই অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিনা শর্তে অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়ে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বায়ক আতিয়ার রহমান যুগান্তরকে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত আবেদন করব। করোনা আতঙ্কে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে কাজ করা সম্ভব না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা শর্তে কর্মকর্তাদের ছুটি দেয়ার দাবি জানিয়ে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ফেডারেশনের মহাসচিব মুর্শিদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, যেহেতু এই মহামারি ঠেকাতে আমাদের জনসমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশ রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনের নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। দেশের সার্বিক প্রেক্ষাপটে সবার কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ বন্ধ রাখা উচিত।
তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ইউজিসিতে গিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত একটা সিদ্ধান্ত আসবে।
