শেকৃবি ও বাকৃবিতে খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণে নতুন প্রকল্প
শেকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২০, ০৫:০৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সম্পদের সীমাবদ্ধতা, জনসংখ্যা বৃদ্ধির উচ্চহার ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সম্ভাবনার ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন অর্জনে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
খাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, উদ্ধৃত্ত খাদ্য রফতানিতেও সাফল্য লক্ষ্যনীয় হলেও সবার জন্য নিশ্চিত হয়নি তা হল পুষ্টিকর খাবার ও গুণগত মান বিবেচনায় নিয়ে খাবার গ্রহণ।
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে খাদ্য নিরাপত্তা সবচেয়ে জরুরি। বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন ও কাঙ্খিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি অর্জনে খাদ্য নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাদ্য নিরাপত্তা নির্ধারণে তিনটি নিয়ামকের একটি হল খাদ্যের গুণগত মান ও নিরাপত্তা।
আর খাদ্যের গুণগত মান ও নিরাপত্তার নির্দেশকগুলো হল খাদ্যের বহুমুখীকরণ, পুষ্টিমান ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের উপস্থিতি, প্রোটিনের মান এবং নিরাপদ খাদ্য। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সারা বিশ্বে এখন অন্যতম চ্যালেঞ্জ। সরকারের প্রচেষ্টার পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে দরকার ব্যক্তিগত সচেতনতা ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা।
বাংলাদেশে ইতিপূর্বে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তেমন গুরুত্ব না থাকায় সরকারের নানা পদক্ষেপ সত্ত্বেও এর কোনো টেকসই উন্নয়ন পর্যাপ্ত নয়।
ফলে এ খাতটির উন্নয়নে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক দাতাসংস্থা ‘নাফিক’-এর সহযোগিতায় শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় খাদ্য নিরাপত্তাকে জোরদারকরণ বিষয়ক একটি প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা প্রকল্প। ‘নাফিক’-এর প্রাতিষ্ঠানিক কোলাবোরেশন প্রোগ্রামের আওতায় প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গত মঙ্গলবার এ প্রকল্পের সাফল্য কামনা করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের অ্যাম্বাসেডর হেরি ভারওয়ে, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইউম সরকার।
শেকৃবির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাকৃবির অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বোর্ড মেম্বার মন্জুর মোর্শেদ আহমেদ এবং নেদারল্যান্ডসের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ম্যারিয়েন ভেন ডর্প ও মনিকা সোপভ। প্রকল্পটি চলবে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রকল্পটি যৌথভাবে পরিচালনা করছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এ প্রকল্পটি মূলত দুটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কাজ করবে।
একটি শ্রমবাজারের চাহিদা নির্ধারণ করে খাদ্য সুরক্ষায় দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি ও বাকৃবি) মাস্টার্স কোর্স চালু করা এবং নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করা পেশাদারদের জন্য বৃত্তিমূলক ও প্রশিক্ষণভিত্তিক শর্ট কোর্স চালু করা। এ ছাড়া এ প্রকল্পটির আওতায় ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষা ও গবেষণায় সহায়তা প্রদান করা হবে।
প্রকল্পটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি এসিউরেন্স সেল-এর ডিরেক্টর প্রফেসর ড. মো. আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের প্রচেষ্টায় আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাব এবং একই সঙ্গে আমাদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় এ প্রকল্পটি একটি নতুন ধার উন্মোচন করবে।
