আইইউবিএটি: উচ্চ শিক্ষায় দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২০, ০৩:০০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শিক্ষার একটি প্রাকৃতিক পরিবেশ নিশ্চিত করেছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আইবিএর সাবেক পরিচালক শিক্ষাবিদ ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান ১৯৯১ সালে আইইউবিএটি প্রতিষ্ঠা করেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবুজে ঘেরা একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় রাজধানীর উত্তরায় ২০ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত।
বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার ক্ষেত্রে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধ্যাপক এম আলিমউল্যা মিয়ান। আইইউবিএটি দেশে প্রথম বিবিএ,হোটেল ম্যানেজমেন্ট এবং বেসরকারি পর্যায়ে প্রথম এগ্রিকালচার, নার্সিং ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিয়ারিং প্রোগ্রাম চালু করে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছয়টি অনুষদের অধীনে নয়টি বিষয়ে ডিগ্রি দেয়া হয়। ব্যাচেলার পর্যায়ে বিবিএ,সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং,কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইকোনমিকস, এগ্রিকালচার, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, ইংলিশ, নার্সিং ও মাস্টার্স পর্যায়ে এমবিএ প্রোগ্রামে চালু রয়েছে।
দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পথিকৃৎ আইইউবিএটি করোনার এ সময়ে অনলাইন ক্লাসেও সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। বৈশ্বিক এই মহামারীর কারণে সরাসরি ক্লাস নিতে না পারলেও তথ্য প্রযুক্তির এই ডিজিটাল সময়ে বাসায় বসেও শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের স্বাদ পাচ্ছে অন লাইন ক্লাসের মাধ্যমে।
যোগ্যতাসম্পন্ন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য উচ্চশিক্ষার নিশ্চয়তা— প্রয়োজনে মেধাবী তবে অসচ্ছলদের জন্য অর্থায়ন। এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ১০০% পর্যন্ত মেধা বৃত্তি। মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় উৎসাহিত করতে ১৫% স্পেশাল বৃত্তিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৬৪টি বৃত্তি দেয়া হয়। ফল সেমিস্টারে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি শতকরা ৭৫ ভাগ এবং টিউশন ফি শতকরা ১৫ ভাগ মওকুফের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এছাড়াও মেধাবী তবে অসচ্ছলদের জন্য অর্থায়ন। মোট কথা এখানে পড়াশোনা করার জন্য অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লোগান হলো ‘অ্যান এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন্ড ফর লার্নিং’। বিজ্ঞানভিত্তিক সময়োপযোগী ও মানসম্মত পাঠদানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয় তাই আইইউবিএটি শিক্ষার মান উন্নত। এখানকার শিক্ষার্থীরা তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক উভয় শিক্ষা পায়। তাত্ত্বিক ক্লাসে তার বিষয়ের ওপর জ্ঞান অর্জন করে এবং সিমুলেশন, প্রজেক্ট, গবেষণা, উপস্থাপনা ইত্যাদির মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানের ব্যবহার করে দক্ষতা অর্জন করে। শিক্ষার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সার্বক্ষণিক শিক্ষকদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে।
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চাকরির উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের পেশা বিষয়ক কর্মশালা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আইইউবিএটির ‘অ্যালামনাই এবং প্লেসমেন্ট অফিস। তাই পাশ করার পরপরই আইইউবিএটির স্নাতকদের চাকরিতে প্রবেশ করা সহজ হয়ে যায়।
আইইউবিএটির অ্যালামনাই এবং প্লেসমেন্ট অফিস থেকে অ্যালামনাই এবং অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্কের সেতু তৈরি করে দেওয়া হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন,বৃহৎ আঙ্গিকে ক্যারিয়ার সেমিনার ও ক্যারিয়ার ফেয়ারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পেশার আদ্যোপান্ত ধারণা দেওয়া হয়।
শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ১০৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আইইউবিএটির সমঝোতা চুক্তি রয়েছে। এই সমঝোতা চুক্তির ফলে গবেষণা কার্যক্রম এবং স্বল্পমেয়াদি শিক্ষার্থী-ক্যাম্প পরিচালনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষক বিনিময় করা হয়।
আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাতা এম আলিমউল্যা মিয়ান রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি ব্যবসায় প্রশাসনসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকরা বিভিন্ন গবেষণায় নিয়োজিত আছেন। এসব গবেষণার ফলাফল নিয়ে রিসার্চ সেমিনারের আয়োজন করা হয় এবং প্রবন্ধ আকারে গবেষণা প্রকাশিত হয়। এছাড়াও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারি অনুদানেও বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পে কাজ করে থাকেন।
আইইউবিএটি ঢাকায় অবস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে আছে খেলার মাঠ,শহীদ মিনারসহ শিক্ষার্থীদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। শিক্ষার্থীদের আনা নেয়ার জন্য ক্যাম্পাস থেকে নিজস্ব বাস চলাচল করে এর জন্য শিক্ষার্থীদের কোনো টাকা পয়সা দিতে হয় না।
আইইউবিএটি স্রেফ একটি ভবন নয়। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সব সুযোগ-সুবিধা সংবলিত একটি পূর্ণাঙ্গ ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’। তাই ছাত্রছাত্রীরা এখানে পা রেখে শুধু বুকভরে নিঃশ্বাসই নয়,উদ্যম আর আত্মবিশ্বাসও গ্রহণের সুযোগ পান।
